শিমুলিয়ায় ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ

শিমুলিয়ায় ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ

শিমুলিয়ায় ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ

ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে আজও দেশের দক্ষিণবঙ্গগামী ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ রয়েছে। বিধিনিষেধ শিথিলের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় যানবাহনে যাত্রীরা ঘাটে উপস্থিত হচ্ছেন। ঘাটে আসা যাত্রীরা ফেরি ও লঞ্চ যোগে পদ্মা পারাপার হচ্ছেন।

এ দিকে দীর্ঘ তিন কিলোমিটার যানজটে নাকাল ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা। প্রত্যেকটি লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে পারাপার করছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করার কারণে ৫টি লঞ্চকে জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

এ দিকে গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বাড়ায় ফেরিতে যানবাহন পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে। এতে ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে হাজারের উপরে ব্যক্তিগত গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাক। বাড়তি গাড়ির চাপে ব্যক্তিগত ও গণপরিবহনে আসা যাত্রীদের নদী পারাপারে অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়।

এদিকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে লঞ্চ সচল থাকায় ফেরিতে যাত্রী চাপ ও গাদাগাদি কমে এসেছে। তবে লঞ্চগুলোতে মানা হচ্ছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি। অর্ধেক যাত্রী ধারণের কথা থাকলেও বেশিরভাগ লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে।সরজমিনে দেখা যায়, লঞ্চঘাটে শতশত যাত্রীর ঢল। ফেরিঘাটের অভিমুখে পার্কিং ইয়ার্ডে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী ছোট-বড় শতশত গাড়ি পারাপারের জন্য অপেক্ষা করছে। এতে অপেক্ষারত যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) শিমুলিয়া নদী বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, ১৩টি ফেরি ও ৮২টি লঞ্চ সচল রয়েছে।এ বিষয়ে বিআইডাব্লিউটিএ শিমুলিয়াঘাটের সহকারী উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, পর্যায়ক্রমে সব যানবাহন পারাপার করা হবে। লঞ্চ চালু হওয়ায় ফেরিতে যাত্রী চাপ কমেছে। তবে গণপরিবহন ও প্রচুর ব্যক্তিগত গাড়ি ঘাটে আসায় পণ্যবাহী ট্রাকে পারপারে বেগ পেতে হচ্ছে।