দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম প্রবেশপথ মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি নৌ-পথে ৭ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
শিমুলিয়া
পদ্মায় প্রচণ্ড স্রোতের কারণে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
জৈষ্ঠ্যমাসেও কুয়াশা! আর এই কারণে আজ দুই ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিলো শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ও মাঝিরকান্দি নৌপথে।
ঈদের ঘরমুখি মনুষের সুবিধাত্ত্বে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে আগামীকাল শুক্রবার থেকে ২৪ ঘণ্টা ৬টি ফেরি চলাচল করবে। এর আগে বুধবার (২৭ এপ্রিল) থেকে এ নৌরুটে পাঁচটি ফেরি চলাচল শুরু করে।
ঘন কুয়াশার কারণে সকল ধরণে দুর্ঘটনা এড়াতে বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) ভোর থেকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরিসহ সব ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ রেখেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-রুটে ফেরি স্বল্পতা থাকায় বিকল্প হিসেবে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও চাঁদপুর-শরিয়তপুর ফেরি রুট ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে আজও দেশের দক্ষিণবঙ্গগামী ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ রয়েছে। বিধিনিষেধ শিথিলের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় যানবাহনে যাত্রীরা ঘাটে উপস্থিত হচ্ছেন।
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিআইডাব্লিউটিসি থেকে বন্ধের নির্দেশনার চললাম থাকার পরেও মাওয়া শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরিতে যাত্রীবাহী গাড়ি ও যাত্রী পারাপার কোনভাবেই থামছে না। প্রতিদিনই যাত্রী ও যাত্রীবাহী যানবাহনকে পারপার হচ্ছে এ নৌরুটের ফেরিতে।
সরকার ঘোষিত লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীর কর্মস্থল ছেড়ে দেশের দক্ষিণবঙ্গগামী ২১ জেলার মানুষের যাওয়ার ঢল নেমেছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে।