ওমান উপসাগরে মুক্ত পানামার জাহাজ

ওমান উপসাগরে মুক্ত পানামার জাহাজ

ওমান উপসাগরে মুক্ত পানামার জাহাজ

ইরান তেল বোঝাই জাহাজ ছিনতাই করেছে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। বুধবার সেই জাহাজ মুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ওমানের কোস্টগার্ড।

মঙ্গলবার ওমান উপসাগরে জাহাজ ছিনতাই হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। পানামার পতাকা লাগানো একটি জাহাজ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পরে আশঙ্কা তৈরি হয়। এরপর যুক্তরাজ্য এবং আমেরিকা দাবি করে, একটি নয়, মোট ছয়টি তেলবোঝাই জাহাজ ছিনতাই করা হয়েছে। আঙুল তোলা হয় ইরানের দিকে।

বুধবার ওমানের কোস্টগার্ড জানায়, জাহাজটি উদ্ধার করা গেছে। তবে ছিনতাই করার জন্য ইরানের নাগরিকরা ওই জাহাজে উঠেছিল বলে দাবি করেছে ওমানের কোস্টগার্ড। ইরান অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র স্পষ্ট জানিয়েছেন, ইরানের ওই ঘটনার সাথে কোনো সম্পর্ক নেই।

কী ঘটেছিল
মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য প্রথম অভিযোগ করে, পানামার পতাকা লাগানো তেলবাহী জাহাজ অ্যাসফাল্ট প্রিন্সেসেরসাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। আরব আমিরাতের উপকূল থেকে ৬১ নটিকাল মাইল দূরত্বে শেষ জাহাজের সাথে যোগাযোগ হয়েছিল। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই দাবি করা হয়, ইরান জাহাজটি হাইজ্যাক করেছে। যুক্তরাজ্যের দাবির কিছুক্ষণের মধ্যেই আমেরিকাও একই দাবি করে। বলা হয়, একটি নয় ছয়টি জাহাজ ছিনতাই করেছে ইরান।

এরপরেই অভিযানে নামে ওমানের কোস্টগার্ড। বুধবার সকাল থেকেই ছিনতাই হওয়া জাহাজের খোঁজ চালাতে থাকে তারা।

এদিকে যুক্তরাজ্যের একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করে, জাহাজটির সাথে কোস্টগার্ডের কথাবার্তার রেকর্ডিং তারা শুনেছে। তাতে স্পষ্ট, ইরানের নাগরিকরা ওই জাহাজে আছে। পরে ওমান কোস্টগার্ডও জানায়, ওই জাহাজে ইরানের কিছু নাগরিক উঠেছিলেন। তারপরেই জাহাজটি যোগাযোগের বাইরে চলে যায়। তবে পরে তারা জাহাজ থেকে চলে যায়। কোনো ক্ষতি করা হয়নি।কেন জাহাজটি ছিনতাই করার চেষ্টা হয়েছিল। কেনই বা তা ছেড়ে চলে যাওয়া হলো, পুরো বিষয়টি নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা আছে। জানা যায়নি, একটি জাহাজই ছিনতাই হয়েছিল, না কি ছয়টি জাহাজ। বাকি জাহাজগুলোর বিষয়েও বিশদে কোনো তথ্য দেয়া হয়নি।

সূত্র : ডয়চে ভেলে