ইবির হল থেকে ছাত্রীদের মালামাল চুরি, থানায় জিডি

ইবির হল থেকে ছাত্রীদের মালামাল চুরি, থানায় জিডি

ইবির হল থেকে ছাত্রীদের মালামাল চুরি, থানায় জিডি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) খালেদা জিয়া আবাসিক ছাত্রী হলের নয়টি কক্ষে তালা ভেঙ্গে চুরির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার হলে কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা কক্ষগুলোর তালা ভাঙ্গা অবস্থায় দেখতে পেলে চুরির বিষয়টি সামনে আসে।

হলের দক্ষিণ ব্লক ব্লকের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলার নয়টি  কক্ষ থেকে জিনিসপত্র চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হল প্রশাসন। এছাড়া হলের ডাইনিং থেকে নতুন লাগানো অন্তত ছয়-সাতটি বেসিনের ট্যাপ চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

হলের নিরাপত্তাকর্মীরা জানান, খালেদা জিয়া হলের কনস্ট্রাকশনের (রিপেয়ারিং) কাজ চলছিল। ঠিকাদারদের কাছেও চাবি দেওয়া ছিল। অন্যদিনের মতো শ্রমিকরা কাজ করতে এলে নিচ তলার বারান্দার গ্রিল ভাঙ্গা দেখতে পান। এরপর শ্রমিকরা নিরাপত্তাকর্মীদের জানালে তারা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান।এ দিকে রবিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভু্ইঁয়া, প্রক্টর ড. অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন ও ইবি থানা পুলিশ।

পরিদর্শন করে কর্তৃপক্ষ ও নিরাপত্তাকর্মীরা জানান, ধারণা করা হচ্ছে চোর হলের প্রাচীর টপকে গ্রিল ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করেছিল। কক্ষের সামনে ভাঙ্গা অবস্থায় তালা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এ ছাড়া কক্ষের ভেতরে জিনিসপত্রও ছিল  এলোমেলো। তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় কী কী চুরি হয়েছে জানা যায়নি।

চুরি হওয়া কয়েকটি কক্ষের ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের কক্ষে সনদ, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, ফ্যান, জামা-কাপড়, ট্রাঙ্কসহ আসবাবপত্র ছিল। তবে হলে না থাকায় কী কী হারিয়েছে তা বলতে পারেননি তাঁরা।

এর আগে করোনাকালীন বন্ধে বেশ কয়েকটি চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় চুরি বন্ধ হচ্ছে না দাবি করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্ট ও মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান তারা। এসব চুরির ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা হলে থাকা মূল্যবান সামগ্রী ও ডকুমেন্টের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কথা জানান। চুরি প্রতিরোধে হলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবি শিক্ষার্থীদের। খালেদা জিয়া হলে চুরির ঘটনার প্রেক্ষিতে চুরি প্রতিরোধে নিরাপত্তা জোরদার করাসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন।

এ বিষয়ে খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল বলেন, তদন্তের পরই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।প্রক্টর অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে কী হারিয়েছে তা মেয়েদের সঙ্গে কথা না বললে বোঝা যাচ্ছে না। হল কর্তৃপক্ষকে সংশ্লিষ্ট মেয়েদের সঙ্গে কথা বলতে বলেছি।

ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টির খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, চুরির বিষয়টি জানার পরই আমরা পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে।