পেয়ারার পুষ্টিগুণ

পেয়ারার পুষ্টিগুণ

পেয়ারার পুষ্টিগুণ

মৌসুমি ফলের মধ্যে বেশ পুষ্টিকর পেয়ারা। এতে ক্যালরি কম, ফাইবার বেশি। সরাসরি খাওয়া হোক আর চাটনি বানিয়ে খান, পেয়ারার উপকার অনেক। এমনকি এর পাতারও আছে ওষুধি গুণ। পেয়ারায় যা আছে :

* পেয়ারায় আছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি ও পটাসিয়াম।
* একটি মাঝারি সাইজের পেয়ারায় ১০০ ক্যালোরি ও ২০ গ্রামের মতো শর্করা থাকে।
* ফাইবার থাকে ৯ গ্রাম। চর্বির পরিমাণ খুবই কম-মাত্র ১.৬ গ্রাম।
* পেয়ারা বেশ প্রোটিনসমৃদ্ধ। একটি পেয়ারায় প্রায় ৪-৫ গ্রাম আমিষ থাকে।

যারা কম খাবেন : * পেট ফাঁপার সমস্যা থাকলে পেয়ারা কম করে খাবেন। এতে ভিটামিন সি ও ফ্রুকটোজের পরিমাণ বেশি। অতিমাত্রায় খেলে তাই পেট ফাঁপবেই। আবার অনেকেই ফ্রুকটোজ ম্যাল-অ্যাবসরবশন সমস্যায় আক্রান্ত। তারাও পেয়ারায় থাকা প্রাকৃতিক চিনি সহজে হজম করতে পারেন না।

* যাদের আইবিএস তথা ইরিটেটেড বাওয়েল সিনড্রোম সমস্যা রয়েছে তারাও ঘন ঘন পেয়ারা খেতে যাবেন না। এমনিতে পরিমিত মাত্রায় পেয়ারা খেলে এর ফাইবার হজমে সাহায্য করে ঠিকই, তবে আইবিএসের সমস্যা থাকলে পেটের যন্ত্রণাটা বাড়বেই।
* শর্করা কম থাকায় পেয়ারা হলো ‘লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’ জাতীয় খাবার। তবে এতেও চিনিও কম নেই! ১০০ গ্রাম পেয়ারার থাকে ৯ গ্রাম প্রাকৃতিক চিনি। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের পেয়ারা খেতে হবে মেপে মেপে। বেশি খেলেই সুগার বেড়ে যাবে হু হু করে।

কখন ও কী পরিমাণ : আপাতত দিনে একটি পেয়ারাই যথেষ্ট। আর গ্লুকোজের মাত্রা বেশি থাকলে খেতে পারেন অর্ধেকটা। দুটো ভারী খাবারের মাঝের সময়টায় পেয়ারা খাবেন। আবার ব্যায়াম করার আগে পরেও পেয়ারা খেতে পারেন। রাতে পেয়ারা এড়িয়ে চলুন। এতে ঠাণ্ডা ও কাশির সমস্যা দেখা দিতে পারে।