রোহিঙ্গাদের করোনার টিকাদান শুরু

রোহিঙ্গাদের করোনার টিকাদান শুরু

রোহিঙ্গাদের করোনার টিকাদান শুরু

কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিক রোহিঙ্গাদের প্রথমবারের মতো করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং মধুরছড়া ৪-এক্সটেশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। কর্মসূচির উদ্বোধন করেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাস কমিশনার শাহ মোহাম্মদ রেজওয়ান হায়াত।

এ সময় সাংবাদিকদের শাহ মোহাম্মদ রেজওয়ান হায়াত বলেন, উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পের ৫৬টি কেন্দ্রে একযোগে রোহিঙ্গাদের প্রথমবারের মতো করোনার টিকাদান শুরু হয়েছে। এর মধ্যে উখিয়া ৪৬টি ও টেকনাফের ১০টি কেন্দ্রে টিকা দেয়া হচ্ছে।তিনি আরো বলেন, প্রথম দফায় ৫৫ বছর বা তার চেয়ে বেশী বয়সীদের ৪৮ হাজার রোহিঙ্গা এই টিকা দেয়া হবে। প্রতিদিন সাত হাজার করে সিনোফার্মার প্রথম ডোজের টিকা প্রয়োগ করা হবে। ১৮ আগস্ট পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার বলেন, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয় ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সহায়তায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন হলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- ডব্লিউএইচওসহ ইউএনএইচসিআর ও ইউনিসেফের কাছ থেকে কিছু টেকনিক্যাল অ্যাসিসট্যান্স নেয়া হয়েছে।শাহ মো: রেজওয়ান হায়াত জানান, প্রথম ডোজের পর দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগের জন্য পর্যাপ্ত টিকা মজুদ রয়েছে। পরবর্তীতে ৫৫ বছরের কম বয়সী রোহিঙ্গাদেরও পর্যায়ক্রমে টিকার আওতায় আনা হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা: মো: মাহবুবুর রহমান বলেন, ক্যাম্পগুলোর টিকা কেন্দ্রে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিনেটর, নার্স, টেকনিশিয়ান ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে দু’টি বুথে দু’জন করে টিকা প্রদানকারী ও তিনজন স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছেন।

চীনের তৈরী সিনোফার্মার ৫০ হাজার ডোজ টিকা প্রথমবার প্রয়োগের জন্য মজুদ রয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন।এ সময় কক্সবাজারের প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি দেশী-বিদেশী বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।জেলা সিভিল সার্জনের দেয়া তথ্য মতে, দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের পর থেকে কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে সোমবার পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই হাজার ৬৯২ জন, এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের।