পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে ভারী যানবাহন নিয়ে ফেরি চলাচল বন্ধ

স্রোতের তীব্রতা কমে না আসা পর্যন্ত ভারী পরিবহনবাহী ফেরি পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে চলাচল করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর পিলারের সাথে ফেরির আঘাতের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সচিবালয়ের সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্রোতের তীব্রতা নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত কোনো ভারী যানবাহন নিয়ে ফেরি পারাপার হবে না হবে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে। অ্যাম্বুলেন্স ও হালকা যান পারাপার হবে। যাত্রীবাহী যান পারাপার হবে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে। পণ্যবাহী যান পারাপারে চাঁদপুরের হরিণা ঘাট ব্যবহার করতে হবে। এসব ঘাটে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে। আজ থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা দেয়ার ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার এ কমিটি গঠন করা হয়।

এর আগে সেতুর পিলারে ধাক্কা দেয়া রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরের ইনল্যান্ড মাস্টার অফিসার মো: দেলোয়ারুল ইসলাম এবং হুইল সুকানী মো: আবুল কালাম আজাদকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।

সোমবার সন্ধ্যায় মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে ছেড়ে আসা মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটগামী রো রো ফেরি ‘বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরের’ ধাক্কায় পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারের পাইল ক্যাপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই স্থানে ঢালাই ভেঙে গিয়ে দুটি রডও দেখা যাচ্ছে।

এর আগে গত জুলাইয়ে দুই দফায় পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা লাগে। ২০ জুলাই পদ্মা সেতুর ১৬ নম্বর পিলারের সাথে ধাক্কা লেগে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথের রো রো ফেরি ‘শাহ মখদুমের’ তলা ফুটো হয়ে যায়। ২৩ জুলাই মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে ছেড়ে আসা রো রো ফেরি ‘শাহ জালাল’ পদ্মাসেতুর ১৭ নম্বর ফেরির সাথে ধাক্কা লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।