বিজিবির ১৯৬ মুক্তিযোদ্ধাকে ভাতা-সুবিধা দেয়ার নির্দেশ বহাল

বিজিবির ১৯৬ মুক্তিযোদ্ধাকে  ভাতা-সুবিধা দেয়ার নির্দেশ বহাল

বিজিবির ১৯৬ মুক্তিযোদ্ধাকে ভাতা-সুবিধা দেয়ার নির্দেশ বহাল-

গেজেট বাতিল করা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১৯৬ জনকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সব সুযোগ-সুবিধা দিতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল খারিজ করে এ আদেশ দেন আপিল বিভাগ।

আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী মো. আব্দুল কাইয়ূম।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহসানুল করীম। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাবরিনা জেরিন ও মো. আব্দুল কাইয়ূম। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী মো. আব্দুল কাইয়ূম।

এর আগে ওই মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট বাতিল করে মন্ত্রণালায় যে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ হয়েছিল, তাদের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ওই গেজেট স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সরকার আপিল বিভাগে আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন আদালত।

গত বছরের ২৯ নভেম্বর চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়ে আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা-আর্থিক সুবিধাদি দিতে নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়েছেন। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেন। ফলে আর্থিক সুবিধাদি দিতে নির্দেশ বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ূম।

তিনি আরো জানান, গত বছরের ৭ জুন ১১৩৪ জন বিজিবি সদস্যের গেজেট বাতিল করে সরকার।

ওই গেজেটে বলা হয়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন ২০০২ এর ৭ (ঝ) ধারা অনুযায়ী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে রুলস অব বিজনেস ১৯৯৬-এর শিডিউল-১ এর তালিকা ৪১-এর ৫ নম্বর ক্রমিকে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে জামুকার ৬৬তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্বাধীনতা যুদ্ধের পর (১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এ যোগদানকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের ১১৩৪ জনের নামে প্রকাশিত গেজেট বাতিল করা হলো। এতে সংক্ষুব্ধ হয়ে পৃথকভাবে ১৯৬ জন রিট করেছিলেন।