ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণ শুরু

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণ শুরু

অনলাইনে পরীক্ষা দিচ্ছেন ইবির শিক্ষার্থীরা

ইবি প্রতিনিধি:ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) অনলাইনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণ শুরু হয়েছে। বুধবার (২৫ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের স্নাতকোত্তর ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা গ্রহণের মধ্য দিয়ে অনলাইন পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। এ দিন বেলা ১১টা থেকে ঘন্টাব্যাপী লিখিত পরীক্ষা ও বেলা চারটা থেকে সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিভাগের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. সুধাংশু কুমার বিশ্বাস এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিভাগীয় সূত্রে জানা যায়, প্রথম দিনে জুম অ্যাপের এমএসসি ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ৫২০৩ নম্বর কোর্সের (মলিকুলার বায়োলজি অব ডিজিজেস) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা শুরুর ৫ মিনিট পূর্বে গুগল ক্লাস রুমে প্রশ্ন সরবরাহ করা হয়।

শিক্ষার্থীরা জুম অ্যাপে যুক্ত হয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পরে পরীক্ষা শেষে মোবাইল ক্যামেরায় উত্তর পত্রের ছবি তুলে স্ক্যান করে পিডিএফ ফাইল তৈরি করে গুগল ক্লাসরুমে সাবমিট করেন শিক্ষার্থীরা।

এরপর বিকেল  চার টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত ভাইভা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীরা গ্রুপ ভিত্তিক ভাইভাতে অংশগ্রহণ নেন। পরীক্ষায় শতভাগ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন বলে বিভাগীয় সূত্রে জানা গেছে।

অনলাইনে পরীক্ষা দেয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করে বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুস সবুর বলেন, 'এটা সত্যিই একটা চ্যালেঞ্জ ছিলো। সম্পুর্ণ এক নতুন অভিজ্ঞতা হলো। স্যাররা আগে থেকেই দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। স্যাররা পুরো পরীক্ষার সময়টতে আমাদের নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। আমরা নিজেরাও খুব করে চাচ্ছিলাম পরীক্ষা দিতে। সেমিস্টারের ২টা পরীক্ষা আগেই অনুষ্ঠিত হয়। বাকি দুইটা পরীক্ষার জন্য এতদিন অপেক্ষা। পরীক্ষায় আমাদের বন্ধুবান্ধব সবাই উপস্থিত ছিল। এক ঘন্টার মধ্যে কেউ জুম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়নি।

পরীক্ষা কমিটির সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড সুধাংশু কুমার বিশ্বাস বলেন, 'আমাদের চিন্তা ছিলো সশরীরে নেয়ার কিন্তু সেটা তো সম্ভব হলোনা। তাই দেরীতে হলেও শিক্ষার্থীদের এভাবে আটকে না রেখে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার চিন্তা করি। সেজন্য পরীক্ষার পূর্বে আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে কর্মশালা করিয়েছি। যেখানে পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রতিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের যাতে কোনো ত্রুটি না হয় সেজন্যে একটা বিষয়ে কয়েকবার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। সর্বোপরি বিভাগ, শিক্ষার্থী ও আমাদের সহকর্মীদের সহায়তায় আমরা সাফল্যের সাথে অনুষ্ঠিত করতে পেরেছি।