পাবনায় বিদেশি রিভলবার ও মাদকসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহিন গ্রেফতার

পাবনায় বিদেশি রিভলবার ও মাদকসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহিন গ্রেফতার

পাবনায় বিদেশি রিভলবার ও মাদকসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহিন গ্রেফতার

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা থানার ভুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গনেশপুর গ্রামের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী  ও মাদকের গডফাদার শাহিন আলমকে গ্রেফতার করেছে সিপিসি-২ পাবনা, র‌্যাবের একটি অভিযানিক দল। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) ভোরে র‌্যাবের একটি দল এক বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে। তার গ্রেফতারে এলাকায় স্বস্তি নেমে এলেও শাহিনের অপর সহযোগী বকুল গ্রেফতার না হওয়ায় জনমনে ভীতি বিরাজ করছে।

র‌্যাব পাবনা ক্যাম্পের ভারৎুাপ্ত কোম্পানাী কমান্ডার কিশোর রায় জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে র‌্যাবের একটি বিশেষ দল পাবনা জেলার আতাইকুলা থানার গণেশপুর এলাকার মৃত রইচ উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ড়েুফতারকৃত শাহিন আলম’র নিকট থেকে ১টি বিদেফশ রিভলবার, ৫ রাউন্ড গুলি অবৈধ নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য ১৬৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, গাজা ও ২টি বিদেশী মদ উদ্ধার করা হয়।

তাকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, সে দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট, গাঁজাসহ বিভিন্ন ব্রান্ডের মাদকদ্রব্য নিজের হেফাজতে রেখে নিজ এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল। সেই সাথে অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজী এবং অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ দেশ-বিদেশে পাচার করে আসছিল। আসামীর বিরুদ্ধে পাবনা জেলার আতাইকুলা থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। র‌্যাব-১২’র পাবনা ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার কিশোর রায় আরও জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমনে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, পাবনা জেলার অন্যতম মাদকের গডফাদার ও শীর্ষ সন্ত্রাসী মাদকের টাকায় এবং অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে চাঁদাবাজি করে মাত্র কয়েক বছরে হয়ে উঠেছে কোটিপতি, তিনি ওই এলাকার এক আতংকের নাম। মাদক ব্যবসা এবং চাঁদাবাজি মাধ্যমে অবৈধ অর্থবিত্তের মালিক পাশাপাশি হয়েছেন মাদকের গডফাদার। শাহীন মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকায় নানা সময় গ্রেপ্তার হয়েছিল। পরে জামিন পেয়ে ফিরে এসেই প্রতিবারই কোনো না কোনো অপকর্ম করে।

দীর্ঘদিন সে পলাতক অবস্থায় ছিল। মাঝে মধ্যে ঢাকায় অবস্থান করলেও মাদকের চালান নিয়ে এলাকায় আসতো বিশেষ কৌশলে। থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে  সে এলাকায় ঢুকে কাজ শেষে আবার এলাকা ত্যাগ করতো বলেও স্থানয়রা জানিয়েছেন।

সম্প্রতি তিনি আতাইকুলা থানা এলাকার মাধপুর বাজারে অবস্থান করলেও অজ্ঞাত কারনে থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেন নাই বলেও স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। তাদের ধারণা পুলিশের সাথে গোপন আঁতাত থাকার কারনেই তাকে পুলিশ গ্রেফতার করতো না।

ইতিপূর্বে এক যুবক তার বিরুদ্ধে কথা বলায় তাকে মারপিট করলে তিনি পঙ্গু হাসপাতালে দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী ছিলেন। এদের অত্যাচারে পুরো এলাকা অতিষ্ঠ বলেও জানান তারা।

এলাকাবাসীর কাছে সে মূর্তমান ত্রাস হওয়ায় কেউ সাহস করে প্রতিবাদ করেনি। মাদক নির্মূলে ‘চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’ স্লোগান নিয়ে ২০১৮ সালের ৪মে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের তত্ত্বাবধানে মাদক নিয়ন্ত্রণে যুক্ত সংস্থা ও বাহিনীগুলো এ অভিযান শুরু করে। এই শাহিনের নামে দুদকে, থানায় এবং আদালতে একাধিক মাদকের মামলা আছে। এছাড়াও তার নামে থানাতে হত্যা, ধর্ষণ মামলাসহ একাধিক মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা রয়েছে।