কুষ্টিয়ায় মাইক্রোবাস চালক হত্যা মামলায় ৬জনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়ায় মাইক্রোবাস চালক হত্যা মামলায় ৬জনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়ায় মাইক্রোবাস চালক হত্যা মামলায় ৬জনের যাবজ্জীবন

দীর্ঘ ১২বছর পূর্বে কুষ্টিয়া মডেল থানার মাইক্রো চালক হত্যা মামলায় ৬জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার বেলা ১২টায় কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১র বিচারক তাজুল ইসলামের আদালত এই রায় দেন। জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষনার সময় শুধুমাত্র আসামী কাওছার আলীর উপস্থিতি এবং বাকী পলাতক ৫জনের অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষনা করেন আদালত।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- পলাতক আসামী ঝিনাইদহের স্বরূপদহ গ্রামের বাসিন্দা রজব আলী জোয়াদ্দারের ছেলে মানিক জোয়াদ্দার(৩৭), মিরপুর উপজেলার ইশালমারী গ্রামের হাসান আলীর ছেলে কোরবান আলী(৪৭), সদর উপজেলার বাহির বোয়ালদহ গ্রামের আফিল উদ্দিন সর্দারের ছেলে আনোয়ার হোসেন ওরফে আনার (৫২), চরসাদিপুর গ্রামের নুজদার সেখের ছেলে সোহান(৩৭), মাগুড়া জেলার হাফিজুর মোল্লার ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন মান্না ওরফে সাগর(৩৭) এবং আদালতে উপস্থিত আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া গ্রামের নফর আলী শাহের ছেলে কাওছার আলী(৪০)।

আদালতের মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৮জুলাই রাত সাড়ে ৩টায় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আইলচারা গ্রামের ষ্টীল ব্রীজ নামক স্থানে মাইক্রো ছিনতাই চক্রের সদস্য আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে পরিকল্পিত ভাবে মাইক্রো চালক কাবিজুর রহমান(৪০)কে মাইক্রোসহ অপহরণ পূর্বক ঘটনাস্থলে চালককে নামিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বসবোধ ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত জখমসহ মৃত্যু নিশ্চিত করে আসামীরা নিহতের লাশ ফেলে মাইক্রোটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এঘনায় নিহতের ভাই মিরপুর উপজেলার পুটিমারি গ্রামের মৃত: আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আব্দুর রউফ বাদি হয়ে ২৯জুলাই অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১০ সালে ২৩ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া মডেল থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আজিজুল হক ৭আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে চার্জশীট দাখিল করেন আদালতে।

কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী জানান, পুলিশের দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ স্বাক্ষ্য শুনানী শেষে ৬আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত মাইক্রো চালক কাবিজুর রহমান হত্যাকান্ডে জড়িত অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। রায় ঘোষনার সময় দ-প্রাপ্ত আসামী কাওছার আলী ব্যাতীত অপর ৫জন  আসামী আদালতে উপস্থিত না হয়ে পলাতক ছিলেন। এছাড়া ছলেমান নামের আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাকে বে-কসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।