যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে কুপিয়ে আহত করলো বিজিবি সদস্য

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে কুপিয়ে আহত  করলো বিজিবি সদস্য

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে কুপিয়ে আহত করলো বিজিবি সদস্য

পাবনায় যৌতুকলোভী এক বিজিবি সদস্যের নির্মমতায় এলাকার মানুষ হতবাক হয়ে পড়েছেন। পৈশাচিক কায়দায় স্ত্রী, শ্বশুর শাশুড়িকে নির্মমভাবে ডেগার দিয়ে কুপিয়ে ও খুঁচিয়ে মারাত্বকভাবে জখম করেছেন।

পাবনার আতাইকুলা যৌতুকের দাবিতে নববিবাহিত স্ত্রী ও শ্বশুর শাশুড়িকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষত বিক্ষত করেছে ওই বিজিবি সদস্য। জেলার আতাইকুলা থানার মাধপুর গ্রামে বুধবার রাত ১১ টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটেছে। আহতদের অবস্থা আশংকাজন হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২১ জুলাই পারিবারিকভাবে মাধপুর গ্রামের মজনু খাঁর মেয়ে বিথীকা খাতুনের সাথে সাঁথিয়া থানার দৌলতপুর গ্রামের ফজলুল হক খানের ছেলে বিজিবি সদস্য সজল খানের বিয়ে হয়। নতুন চাকরির কারনে বিবাহ রেজিষ্ট্রি না করে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে উপস্থিত উভয় পক্ষের অভিভাবক, স্বাক্ষী ও সজলের স্বাক্ষরে ৫ লাখ টাকা যৌতুকের চুক্তিতে বিয়ে হয়। বিয়ের এক মাস পর সজলের দাবির প্রেক্ষিতে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে শ্বশুর মজনু খাঁ জামাইকে আরো ১ লাখ টাকা দেন। স্বামী সজল আরো যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী বিথীকাকে চাপ দিতে থাকেন। এরই এক পর্যায় বুধবার রাত ১০টার দিকে শ্বশুর বাড়ি আসার আগে সজল তার স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে জানায় ‘তোমার ঘরের দরজা খোলা রেখো’। বিথি কারন জানতে চাইলে সজল বলেন,‘এটা সারপ্রাইজ মাত্র।

’ হঠাৎ রাত ১১টার দিকে বাড়ির গেটের সামনে বিথি বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করেন। মেয়ের চিৎকার শুনে মা কমেলা খাতুন এগিয়ে গেলে সজল ধারালো অস্ত্র (ডেগার) দিয়ে মা-মেয়েকে এলোপাথারীভাবে কুপাতে থাকে। এসময় বিথির পিতা মজনু খাঁ এগিয়ে গেলে তাকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে স্বামী সজল পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

আতাইকুলা থানার অফিসার ইনচার্জ জালাল উদ্দিন জানান, রাতেই গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান হয়েছে। এখনও মামলা হয়নি। তিনি আরো জানান, বিথীকার স্বামী সজল খান বিজিবির সদস্য। তার আইডি নং-৯৪, জিডি-১৬০২৬৯। সে ৫৯ বিজিবি রহনপুর ব্যাটালিয়ানে কর্মরত। বিষয়টি মৌখিকভাবে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) কে জানানো হয়েছে। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে পাবনার অতিরিক্ত পুরিশ সুপার মাসুদ আলম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনাটির ব্যাপারে   খোঁজ খবর নিচ্ছেন বলে জানান।