রূপচর্চায় তেজপাতার জাদু

রূপচর্চায় তেজপাতার জাদু

তেজপাতা

তেজপাতা সাধারণত রান্নায় স্বাদ ও সুগন্ধ আনতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু তেজপাতা শুধু রান্নাতেই জাদু আনে না, রূপচর্চার ক্ষেত্রেও তেজপাতা ব্যবহার করা যায়। যেমন- রোজ তেজপাতা ফোটানো পানি খেলে লাবণ্য ফিরে আসে। এছাড়াও রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয় তেজপাতা। দেখে নিন রূপচর্চায় কীভাবে ব্যবহার করবেন তেজপাতা-

উকুন দূর করতে

তেজপাতা গুঁড়ো করে পানিতে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এবার এটি ছাকনি দিয়ে ছেকে নিন। এই পানি দিয়ে মাথার তালু এবং চুলে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা পর এটি ধুয়ে ফেলুন। এটি উকুন দূর করতে বেশ কার্যকরী।

নরম চুল

নরম চুল পেতে তেজপাতা ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে ১০টা তেজপাতা নিন। পানিতে দিয়ে ফোটান। ১০ মিনিট ফোটার পর দেখবেন পানির একটা হালকা সবুজ রং চলে এসেছে। এবার এটি নামিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন। এরপর গোসলের সময় এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। দেখবেন চুল দিয়ে একটা সুন্দর গন্ধ বেড়ছে। এছাড়া চুল কোমল হয়ে গেছে।

খুশকি দূর করতে

চুলের খুশকি দূর করতে তেজপাতা খুবই উপকারী। তেজপাতার গুঁড়োর সঙ্গে পরিমাণ মতো টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এবার এটি চুলে লাগান। কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি খুশকি দূর করার পাশাপাশি মাথার চুলকানির সমস্যা থাকলে তা দূর করবে।

টোনার হিসেবে ব্যবহার করুন

তেজপাতা ত্বকের জন্যও খুব ভালো। এটিকে আপনি টোনার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। কতগুলো তেজপাতা নিয়ে পানির সঙ্গে ফুটিয়ে নিন। এবার এটি একটি বোতলে রেখে দিন। দিনে ১ বার করে ব্যবহার করুন এই পানি। এর ফলে আপনার ত্বকে কোনও চুলকানির সমস্যা থাকলে দূর হয়ে যাবে। তেমনই এর ফলে আপনার ত্বক চকচক করবে।

ব্রণ দূর করে

পানির মধ্যে ১০টি তেজপাতা গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিন। এবার এটি অল্প আঁচে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে এই মিশ্রণটি ছেঁকে নিন। দুবার নিয়ম করে এই পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। এতে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমে যাবে। ত্বকের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পাবে।

দাঁত সাদা করতে

তেজপাতা গুঁড়ো করে পেস্টের সঙ্গে মিশিয়ে দাঁত মাজুন। এটি দাঁতের হলদেটে ভাব দূর করে। চাইলে শুধু তেজপাতা গুঁড়ো দিয়ে দাঁত ব্রাশ করতে পারেন।

চুলকানির সমস্যা কমাতে

কাঁচা তেজপাতা অলিভ অয়েলে ফুটিয়ে তেজপাতার তেল তৈরি করুন। এবার এই তেল ব্যবহার করলে ত্বকের নানা সমস্যা দূর হবে।