পশ্চিম সাহারা নিয়ে বিতর্কে মরক্কো ও ইইউ চুক্তি বাতিল

পশ্চিম সাহারা নিয়ে বিতর্কে মরক্কো ও ইইউ চুক্তি বাতিল

পশ্চিম সাহারা নিয়ে বিতর্কে মরক্কো ও ইইউ চুক্তি বাতিল

পশ্চিম সাহরায় মরক্কোর নিয়ন্ত্রণের স্বীকৃতিতে বিতর্কের জেরে দেশটির সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এক চুক্তিকে বাতিল করেছেন ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিস।

বুধবার পশ্চিম সাহরার স্বাধীনতা দাবিকারী সংগঠন পলিসারিও ফ্রন্টের দায়ের করা এক মামলায় আদেশ দেন ইউরোপের ইউনিয়নের সর্বোচ্চ এই আদালত।২০১৯ সালের স্বাক্ষরিত এই চুক্তিতে দুই পক্ষের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য প্রতিষ্ঠা এবং কৃষিপণ্য ও মৎস রপ্তানির বিষয়ে ঐক্যমত হয়।এই চুক্তিতে পশ্চিম সাহারাকে মরক্কোর ভূমি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে পলিসারিও ফ্রন্ট।

চুক্তি অনুসারে পশ্চিম সাহারার ভূমিতে উৎপন্ন পণ্য ও সমুদ্রসীমা থেকে ধরা মাছ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে রপ্তানি করতে পারবে।ইউরোপীয় আদালত জানান, এই চুক্তি আন্তর্জাতিক আইনের সাথে সাংঘর্ষিক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে মরক্কোর কোনো চুক্তিতে পশ্চিম সাহারা মরক্কোর অংশ হিসেবে গণ্য হতে পারে না।

এদিকে পলিসারিও ফ্রন্টের এক মুখপাত্র সিদি বারিকা ইউরোপীয় আদালতের আদেশকে 'গুরুত্বপূর্ণ আইনি বিজয়' হিসেবে উল্লেখ করে ব্রিটেনের সাথে মরক্কোর চুক্তিকে একই ভিত্তিতে অবৈধ হিসেবে উল্লেখ করেন।একইসাথে ব্রিটেনের হাইকোর্টকেও পশ্চিম সাহারার বিষয়ে একই পথ অনুসরণের আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, 'বাণিজ্য ন্যায়, মানবাধিকার ও সম্মানের ভিত্তিতে হওয়া প্রয়োজন এবং আমরা আশা করি ব্রিটিশ সরকার ইইউ-মরক্কোর চুক্তিকে স্পষ্টভাবে চুরি হিসেবে বিবেচনা করবে, যাতে করে ব্রিটেন এই ধরনের মানাবাধিকার লঙ্ঘন অনুসরণ না করে।'অপরদিকে পশ্চিম সাহারার সাংবাদিক ও অধিকার কর্মী আহমদ আততানজি বলেন, এর মাধ্যমে ন্যায় ও আইনের বিজয় হয়েছে।

তিনি বলেন, 'আমি আশা করি এটি আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ চুরি করায় ইইউ সদস্যদের অবৈধ সংশ্লিষ্টতাকে সমাপ্তির প্রথম পদক্ষেপ হবে এবং আমরা প্রত্যাশা করি দখলকৃত পশ্চিম সাহারার জনগণের দুর্ভোগ সমাপ্তিতে ইইউকে এটি চাপ দেবে।'

১৯৭৬ সালে ঔপনিবেশিক শক্তি স্পেন পশ্চিম সাহারা থেকে চলে যাওয়ার পর মরক্কো এই ভূখণ্ডের ওপর নিজের অধিকার দাবি করে তা দখল করে নেয়। এরপর থেকেই মরক্কোর কাছ থেকে পশ্চিম সাহারা স্বাধীনতার দাবিতে দীর্ঘদিন লড়াই করে। ১৯৯১ সালে জাতিসঙ্ঘের গণভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্তের শর্তে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হলেও এখনো কোনো গণভোট হয়নি।

সূত্র : মিডল ইস্ট আই