কানুনগোর স্বাক্ষর জাল করে জমি বিক্রির চেষ্টায় একজন গেফতার

কানুনগোর স্বাক্ষর জাল করে জমি বিক্রির চেষ্টায় একজন গেফতার

প্রতীকী ছবি

পাবনা প্রতিনিধি:পাবনার চাটমোহরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভূমি অফিসের কানুনগোর ভুয়া নাম ব্যবহার ও স্বাক্ষর জাল করে খারিজ খতিয়ান ও ডিসিআর তৈরি করে জমি বিক্রির অপচেষ্টার অভিযোগে বুধবার একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক আবদুল হামিদ মুন্সি উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়নের শরৎগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা। এ ব্যাপারে চাটমোহর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহকারী নুরুল হুদা চাটমোহর থানায় মঙ্গলবার রাতে মামলা করেন। পুলিশ বুধবার দুপুরে আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।

অভিযোগে জানা গেছে, আবদুল হামিদ মুন্সি কিছুদিন আগে তার ৭১ শতাংশ জমির দলিল, খাজনা, খারিজ ও ডিসিআরের মূল কপি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ফৈলজানা শাখায় জমা রেখে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেন। পরে ঋণ পরিশোধ না করে ফৈলজানা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা নাকিবুল্লাহর যোগসাজশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাবুল আকতার ও ভূমি অফিসের কানুনগো জাহাঙ্গীর আলমের নাম ও সিল ব্যবহার করে জাল স্বাক্ষর করে খারিজ খতিয়ান ও ডিসিআর তৈরি করেন। অথচ বাবুল আকতার ও জাহাঙ্গীর আলম নামের কোনো কর্মকর্তা চাটমোহরে কখনও ছিলেন না। এরপর আবদুল হামিদ মুন্সি পাবনার আতাইকুলা থানার ইসলামপুর গ্রামের লোকমান হাকিমের কাছে জমি বিক্রি করার জন্য দলিল লেখক মোঃ শহীদুল্লাহর মাধ্যমে দলিল দাখিল করেন। দলিল দেখে অফিস সহকারী নুরুল হুদার বিষয়টি সন্দেহ হলে তিনি সাব-রেজিস্ট্রারকে জানান। সাব- রেজিস্ট্রার থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আবদুল হামিদ মুন্সিকে আটক করে। আবদুল হামিদ ডিসিআর ও খারিজ খতিয়ানের কাগজ জাল জালিয়াতির কথা স্বীকার করেন।

চাটমোহর থানার ওসি মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, জাল কাগজপত্র তৈরির দায়ে আবদুল হামিদ মুন্সির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।