পশ্চিমবঙ্গের স্কুলে সকালে-দুপুরে ক্লাস

পশ্চিমবঙ্গের স্কুলে সকালে-দুপুরে ক্লাস

পশ্চিমবঙ্গের স্কুলে সকালে-দুপুরে ক্লাস

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে খুলে যাচ্ছে স্কুল-কলেজ। কীভাবে ক্লাস হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশিকা জারি করেছে শিক্ষা দফতর। যা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ছাত্র-শিক্ষক মহলে।

১৬ তারিখ পশ্চিমবঙ্গে সমস্ত স্কুল-কলেজ খুলে যাচ্ছে। কিন্তুকীভাবে ক্লাস হবে, সামাজিক দূরত্বের বিধি কীভাবে রক্ষিত হবে, এসব নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। শেষপর্যন্ত শিক্ষা দফতর এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। কিন্তু তারপরেও  বিভ্রান্তি পুরোপুরি কাটেনি বলেই মনে করছেন ছাত্র-শিক্ষকদের একাংশ।

শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, সামাজিক দূরত্বের নীতি মানতেই হবে। এক বেঞ্চে অতিরিক্ত ছাত্র যাতে না বসে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ফলে প্রয়োজনে ক্লাস দুই ভাগে ভেঙে দিতে হবে। অর্ধেক ছাত্র সকালে এবং অর্ধেক ছাত্র দুপুরে ক্লাসে আসতে পারে। তবে এই সিদ্ধান্ত স্কুল কর্তৃপক্ষের উপরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ছাত্র সংখ্যার উপর নির্ভর করবে ক্লাস আদৌ ভাঙা হবে কি না।

শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, স্কুল খুললেও মিড ডে মিল এখনই দেওয়া হবে না। বাড়ি থেকে ছাত্রদের টিফিন নিয়ে আসতে হবে। শুধু তাই নয়, নিয়ে আসতে হবে জলের বোতল। স্কুলে সকলে এক জায়গা থেকে জল খেতে পারবে না। এমনকী, একে অপরের পেন, খাতা-বইও ব্যবহার করতে পারবে না।

স্কুলে ঢোকার সময় যাতে হুড়োহুড়ি না হয়, তার জন্য স্কুল শুরু হওয়ার এক ঘণ্টা আগে স্কুলে ঢোকার মূল দরজা খুলে দিতে হবে। ক্লাস শুরু হওয়ার ১০ মিনিট আগে শিক্ষকদের করোনা বিষয়ে সচেতন করতে হবে। এছাড়াও স্কুলে করোনা সংক্রান্ত পোস্টার লাগাতে হবে।

সরকার জানিয়েছে, আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাসই কেবল স্কুলে হবে। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ক্লাস এখনো অনলাইনেই নিতে হবে।স্কুলের ক্ষেত্রে অনলাইন-অফলাইনের বিভাজন থাকলেও কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা জারি হয়নি। ফলে অধিকাংশ কলেজ কর্তৃপক্ষ মনে করছে, সমস্ত ছাত্রকেই ১৬ তারিখ থেকে কলেজে আসতে হবে।

বহু ছাত্র এবং শিক্ষক মফসসল থেকে কলকাতায় আসেন। অনেকে কলকাতা থেকে গ্রাম-মফসসলে যান। লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় কীভাবে তারা যাতায়াত করবেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সরকার জানিয়েছে, ছাত্র এবং শিক্ষকদের জন্য স্পেশাল পারমিটের ব্যবস্থা করা হবে। যা দেখিয়ে তারা স্টাফ ট্রেনে উঠতে পারবেন। সরকার জানিয়েছে, শিক্ষাপ্রাঙ্গনগুলি ১ নভেম্বর থেকেই খুলে দেওয়া হচ্ছে। ফলে প্রয়োজনীয় অফিসের কাজ তখন থেকেই শুরু করে দেওয়া যাবে।

সূত্র : ডয়েচে ভেলে