পাবনায় দিনভর বৃষ্টি, মাঠে বিনষ্ট পাকা ধান

পাবনায় দিনভর বৃষ্টি, মাঠে বিনষ্ট পাকা ধান

পাবনায় দিনভর বৃষ্টি, মাঠে বিনষ্ট পাকা ধান

সারাদিন রিমঝিম বৃষ্টি আর মৃদু শিতল হাওয়ায় কার্তিকের শেষে শীতের পুরো পূর্বাভাস দিচ্ছে। যদিও আগের  সেই প্রবাদ বা বাস্তব রুপ ‘এলারে আশ্বিন-গা করে শিণ শিণ’ মেলানো ভারী দায়। যাই হোক শনিবার দুপুর থেকে শুরু হয়ে রোববার সারাদিন আকাশে মেঘের জলরাশি থেমে থেমে ঝুমঝাম আবার কখনো রিমঝিম আবার কখনো ঝিরঝিরে শীতল জলধারা। মৃদু বাতাসের ডানায় নেমে আসছে শীত। পাবনায় শনিবার দুপুর থেকে  রোববার সারাদিন সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। এই রৈরি আবহাওয়ায় দুর্ভোগ নেমে আসে জনজীবনে। বৃষ্টিতে বেশি সমস্যায় পড়ে দিনেখাটা দিনমজুররা।জীবন জীবীকার তাগিদে বের হয়ে বাজার করে ঘরে ফিরতে চাওয়া শ্রমজীবী মানুষের কাপালের ভাঁজ ভারি হয়ে ওঠে। শীতের আগমনী এই বৃষ্টি অনেকের কাছে রোমান্টিক হলেও অনাহারীদের আহার  জোগাতে বেগ পেতে হয়।

পাবনার মধ্য শহরের খামারবাড়ির সামনে একটি চায়ের দোকানে বৃষ্টিতে আটকে পড়া অপেক্ষমান কয়েকজন দিনমজুরের সাথে কথা হলে জানা যায়, প্রতিকূল আবহাওয়াতে তাদের রোজগার প্রতিদিনের থেকে অনেক কম। দিনশেষ বাজার করে ঘরে ফিরতে পারবে কিনা তারা নিশ্চিত নয়। ব্যাটারি চালিত রিক্সাচালক মোঃ শাহিনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভাড়া গাড়ি নিয়ে সকালে বের হয়েছেন; তেমন যাত্রী টানতে পারেনি। দুপুর ২ টা পর্যন্ত ৯০ টাকা উর্পাজন করেছেন। রিক্সার মহাজনকে ভাড়ার টাকা দিতে হবে। কখন বৃষ্টি থামবে সে আশায় অপেক্ষমান সবুর আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখেন একটু পরপর।মোহন ফেরি করে কাঁচা তরকারি বিক্রি করে শহরের রাস্তা, অলিগলি ও বাসাবাড়িতে তিনি জানান, থেমে থেমে বৃষ্টি থাকায় শহরে বেশি বিক্রি হয়নি; তবে তিনি আশাবাদী বৃষ্টি কমলে বাসাবাড়ি গুলোতে গিয়ে তরকারি বিক্রি করতে পারবে।

পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মোঃ আবদুল লতিফ জানান,‘বর্তমান যে বৃষ্টি হচ্ছে; তাতে শীতকালের নাবি জাতের শাকসব্জি অর্থাৎ পালংশাক,মূলাসহ বিভিন্ন জাতের শাকসব্জির জন্য উপকার হলেও মাঠে থাকা পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হবে।’ চায়ের দোকানদার মিঠুন জানায়, দোকানে কাষ্টমার নেই, প্রতিকূল আবহাওয়াতে মানুষ কম বের হয়েছে।এদিকে আগামী দু’দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানান, শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি থাকবে আরও দু’দিন এবং শীতের আগমনী বার্তা আনবে চলমান এই বৃষ্টি।