চাটমোহরে নির্বাচনী সহিংসতায় প্রার্থীসহ আহত ৩৫, হাসপাতালে ২১

চাটমোহরে নির্বাচনী সহিংসতায় প্রার্থীসহ আহত ৩৫, হাসপাতালে ২১

চাটমোহরে নির্বাচনী সহিংসতায় প্রার্থীসহ আহত ৩৫, হাসপাতালে ২১

আর মাত্র তিনদিন পর নির্বাচন। প্রচারণার শেষ মুহূর্তে চাটমমোহর অশান্ত হয়ে ওঠেছে। মঙ্গলবার রাতে প্রচারণার সময় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সমর্থকরা বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। বিশেষ করে ২টি ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতায় স্বতন্ত্র এক চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। ভাঙ্গচুর করা হয়েছে প্রতিপক্ষের নির্বাচনী অফিস ও একাধিক মোটরসাইকেল।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার গুনাইগাছা ও হরিপুর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হামলা-ভাঙ্গচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে ৩ জনকে আটক ও ২টি  মোটরসাইকেল জব্দ করে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নে দু’বিদ্রোহী চেয়ারম্যানপ্রার্থী মোঃ রজব আলী বাবলু ও নুরুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যেসংঘর্ষের সময় চেয়ারম্যান প্রার্থী রজব আলী বাবলুসহ ১৫ জন আহত হন। এসময় বননগর ও চরপাড়া বাজারে দোকানপাট ভাঙ্গচুরের ঘটনাও ঘটে। আহতদের মধ্যে ৯ জনকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালে ভর্তিকৃতরা হলেন বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী (আনারস) মোঃ রজব আলী বাবলু (৫৫),  রায়হান আলী (৩০), বাবু হোসেন (৩০), মনসুর আলী (৩৫), সাইফুল ইসলাম (২০), আলাল হোসেন (৪৫), আক্কাস বিশ্বাস (৫৫), রজব আলী (৫৮) ও ইসরাইল হোসেন (৫৬)।এ ঘটনায় ৩ জনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। জব্দ করা হয়েছে ২টি মোটরসাইকেল।

একইদিন রাত ৮টার দিকে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিপুর ও চড়ইকোল বাজারে প্রতিদ্ব›ন্দ্বী দু’চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে ৩ জনসহ উভয় পক্ষের অন্ততঃ ২০ জন আহত হয়েছেন।

আহতদের মধ্যে ১২ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ২টি নির্বাচনী অফিস ও ৫টি মোটরসাইকেলও ভাংচুর করা হয়। এ নিয়ে উভয় প্রার্থীর কাছ থেকে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।নৌকার প্রার্থী মোঃ মকবুল হোসেন ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রভাষক মোঃ আফজাল হোসেন’র সমর্থকদের মধ্যে হরিপুর বাজারে এ ষংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আনোয়ার  হোসেন জানান।

সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) সজীব শাহরিন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈকত ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন।আগামী ২৮ নভেম্বর চাটমোহর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।