ওমিক্রন আক্রান্তদের দেহে উপসর্গ কতটা গুরুতর?

ওমিক্রন আক্রান্তদের দেহে উপসর্গ কতটা গুরুতর?

ওমিক্রন আক্রান্তদের দেহে উপসর্গ কতটা গুরুতর?

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার যেন শেষ নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার এই ভ্যারিয়েন্টটি অন্তত ৩২টি মিউটেশন ঘটিয়েছে, যার বৈজ্ঞানিক নাম বি.১.১.৫২৯। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে মিউটেশন ছিল ১০টি আর বেটায় ছয়টি। আর ওমিক্রনের ‘ইউনিক’ মিউটেশনের সংখ্যা হলো মোট ২৬টি। তাই একে মোকাবিলা করা যে সহজ নয়, তা সহজেই বোঝা যায়। খবর বিবিসির।

ওমিক্রন নিয়ে বিজ্ঞানীদের উদ্বিগ্নতার আরও কারণ হলো, এটি অত্যন্ত দ্রুত ও সহজে ছড়ায়। এটি মানবদেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এড়াতে পারে বলে এর বিরুদ্ধে টিকা কম কার্যকর। তাই করোনাভাইরাস যত সহজে ছড়াবে, ততই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে। এর ফলে গুরুতর অসুস্থ হওয়া ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে।

 

প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণে দেখা গেছে, ওমিক্রনে পুনরায় সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। যারা ইতোমধ্যে করোনার টিকা নিয়েছেন, তারা কতটা নিরাপদ, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না, সিনোভ্যাক, স্পুটনিক, এসব টিকা ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর হবে?

গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রন ভাইরাস চিহ্নিত হয়। মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই এতে আক্রান্ত ব্যক্তি চিহ্নিত হয়েছে পৃথিবীর কমপক্ষে ১১টি দেশে। এটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বিভিন্ন দেশ নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করতে শুরু করেছে।

এ ব্যাপারে দক্ষিণ আফ্রিকার মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান অ্যানজেলিক কোয়েৎজি বিবিসিকে বলেন, এখন পর্যন্ত সামান্যই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আক্রান্তদের বেশির ভাগই হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার দরকার হয়নি। যদিও ওমিক্রন আক্রান্তদের উপসর্গ মৃদু বলে দেখা যাচ্ছে। তবে দুই সপ্তাহ পর চিত্রটা বদলে যেতে পারে।