দু’দিনের মাথায় নির্বাচনী সহিংসতায় আরো একজন নিহতের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ

পাবনা প্রতিনিধি:দু’দিনের মাথায় একই উপজেলায় সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাচনী সহিংসতায় দুবলিয়া হাজি জসিম উদ্দিন ডিগ্রী কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী নিহতের প্রতিবাদে সোমবার রাতে সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।

এর আগে সোমবার (১১ ডিসেম্বর ) সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নে দু’চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে একজন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

এ ঘটনার একদিন পরেইসোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে  পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে নাসিম হোসেন (১৭) নামে এক কলেজছাত্র নিহত হয়।

এ হত্যার প্রতিবাদে সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টারদিকে নারী-পুরুষ,শিক্ষার্খীরা দুবলিয়া বাজারে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে।

নিহত কলেজছাত্র নাসিম সদর উপজেলার আটঘরিয়াপাড়া গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমানের সমর্থক ছিল।

বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এত দিন আমাদের ইউনিয়নে ভোটের খুব শান্ত পরিবেশ ছিল। বর্তমান  চেয়ারম্যান নিজের ভরাডুবি ভেবে নির্বাচন বানচাল করার জন্য এলাকায় বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে এসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। চেয়ারম্যান হয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করাসহ গরিবের চাল চুরি করেছে। পাশাপাশি অবৈধ ব্যবসা করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।

সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্বে থাকলেও তিনি সদর উপজেলার চরতারপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে কোটি টাকার বিনিময়ে নৌকা বাগিয়ে নিয়ে আসেন বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।

প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল হয় দুবলিয়া বাজার। মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। এ সময় যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে  নেয় বিক্ষোভকারীরা। 

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রোকনুজ্জামান সরকার বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ওই কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়।

প্রসঙ্গত, আগামী ২৬ ডিসেম্বর পাবনা সদরের ১০টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।