ওমিক্রনের লক্ষণ : প্রতিরোধে করণীয়

ওমিক্রনের লক্ষণ : প্রতিরোধে করণীয়

ওমিক্রনের লক্ষণ : প্রতিরোধে করণীয়

খাওয়ার রুচি হারানো হতে পারে সম্ভাব্য নতুন উপসর্গ। করোনা ভাইরাসের নয়া ধরন ‘ওমিক্রন’ মৃদু মাত্রার হলেও একে অবহেলা না করার সতর্কবাণীও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে পুরোদমে। পাশের দেশ ভারতে করোনাভাইরাসের এই নয়া ধরনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। তাই এর উপসর্গগুলো সম্পর্কে জেনে রাখা জরুরি। তবে ‘ডেল্টা’ ধরনের তুলনায় এই নতুন ধরনের তীব্রতা কম।

ওমিক্রনের তীব্রতা আদৌ কম কি না, তা নিয়ে চিকিৎসকরা আরো বিস্তারিত গবেষণা ও ফলাফলের অপেক্ষায় আছেন।
সেই সাথে এ পর্যন্ত ওমিক্রনের কিছু সাধারণ উপসর্গ চিহ্নিত করেছেন চিকিৎসকরা, যা জানা যায় ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র এক প্রতিবেদনে।

সেগুলো হলো হালকা জ্বর যা আপনা আপনিই সেরে যায়, অবসাদ, গলা খুশখুশ করা বা অস্বস্তি, প্রচণ্ড শরীরব্যথা।
তবে স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি হারানোর ঘটনা এখন পর্যন্ত চোখে পড়েনি। করোনাভাইরাসের অন্যান্য ‘ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে এই দুটোই ছিল বিশেষ উপসর্গ।

করোনাভাইরাসে যতগুলো ধরন এপর্যন্ত পাওয়া গেছে এর সবগুলোই ছিল অনিশ্চয়তায় ঘেরা সংক্রমণ ক্ষমতা আর তীব্রতা দু’দিক থেকেই। আবার উপসর্গগুলোও মানুষভেদে ভিন্ন হয়।জ্বর, অবসাদ আর গলাব্যথা ওমিক্রনের সাধারণ উপসর্গ হলেও যুক্তরাজ্যের ‘জোয়ি কোভিড স্টাডি অ্যাপ’-এর তথ্য মতে, ‘খাওয়ার রুচি হারানো হতে পারে সম্ভাব্য নতুন উপসর্গ।’

গবেষকরা এই ‘অ্যাপ’ থেকে পাওয়া নতুন তথ্যের সাথে তুলনা করেন অক্টোবর মাসের তথ্য, যে সময় ‘ডেল্টা’ ধরনে দাপট ছিল পুরোদমে।এই বিশ্লেষণের ভিত্তিতে তারা দাবি করেন, ‘প্রায় অর্ধেক মানুষ জ্বর, কফ, স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি হারানো উপসর্গের কথা জানিয়েছে। তবে নতুন তথ্যে উঠে এসেছে নতুন উপসর্গ, খাওয়ার রুচি হারানো।’

করণীয় : করোনাভাইরাসের কোনো ধরন আপনাকে আক্রান্ত করেছে কি না তা জানার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো ‘আরটি-পিসিআর টেস্ট’ করানো। ফলাফল ‘পজিটিভ’ হলে নিজেকে সবার থেকে দূরে রাখুন, উপসর্গগুলোর প্রতি তীক্ষ্ণ নজর রাখুন।
আক্রান্ত হওয়ার সময়ের আগে পরে যারা আপনার কাছাকাছি এসেছিলেন তাদেরকে জানান আপনার ‘পজিটিভ’ হওয়ার খবর, যাতে তারাও সাবধান হতে পারেন।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাকে অবহেলা করার সুযোগ আজো নেই। মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে, স্যানিটাইজার ব্যবহার চালিয়ে যেতে হবে। জরুরি প্রয়োজন না হলে ঘরেই থাকুন।