পঞ্চম ধাপে ৭০৮ ইউপিতে চলছে ভোটগ্রহণ

পঞ্চম ধাপে ৭০৮ ইউপিতে চলছে ভোটগ্রহণ

পঞ্চম ধাপে ৭০৮ ইউপিতে চলছে ভোটগ্রহণ

পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বুধবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। দেশের ৪৮টি জেলার ৯৫টি উপজেলার ৭০৮টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এরমধ্যে ৪০টি ইউপিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে।

ইসির তথ্যপত্রে, ৪৮টি জেলার ৯৫টি উপজেলায় ৭০৮টি ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে মোট ৩৬ হাজার ৪৫৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ৭০৮টি পদের জন্য তিন হাজার ২৭৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। তবে, ৪৮ জন চেয়ারম্যান প্রতিদ্বন্দ্বী ইতোমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের নিজ নিজ পদের বিপরীতে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এছাড়া বিভিন্ন ইউপিতে সংরক্ষিত আসনে ৩৩ জন ও সদস্য পদে ১১২ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

৭০৮টি ইউপিতে, সাত হাজার ১৩৭টি ভোটকেন্দ্রের অধীনে মোট ভোটার সংখ্যা এক কোটি ৪২ লাখ। ৪০টি ইউপিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে এবং পঞ্চম ধাপের ভোটে অবশিষ্ট কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপার ব্যবহার করা হবে।

গত ২৭ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন ৪৭টি জেলার ৭০৭টি ইউপিতে পঞ্চম ধাপের ভোটের তফসিল ঘোষণা করে। পরে পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে আরেকটি ইউপি অন্তর্ভুক্ত হয়।

৭০৭টি ইউপির মধ্যে রয়েছে পঞ্চগড় জেলায় আটটি, দিনাজপুরে ১৯টি, নীলফামারীতে ১১টি, লালমনিরহাটে ৭টি, কুড়িগ্রামে ৭টি, গাইবান্ধায় ১৬টি, জয়পুরহাটে ৫টি, বগুড়ায় ২২টি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৪টি, নওগাঁয় ২৩টি, রাজশাহীর ১৯টি, নাটোরে ১১, সিরাজগঞ্জে ১৬, পাবনায় ১৫, কুষ্টিয়ায় ১১, ঝিনাইদহে ২০, যশোরে ২৩, সাতক্ষীরায় ১৬, ভোলায় ১২, পিরোজপুরে ৫, জামালপুরে ১১, শেরপুরে ৮, ময়মনসিংহে ২৬, নেত্রোকোণায় ২১, টাঙ্গাইলে ১৩, কিশোরগঞ্জে ১৫, মানিকগঞ্জে ২১, মুন্সিগঞ্জে ৭, ঢাকায় ১১, গাজীপুরে ৮, নরসিংদীতে ১৫, রাজবাড়ীতে ১০, ফরিদপুরে ১৫, গোপালগঞ্জে ১৫, মাদারীপুরে ২, শরীয়তে ১৭, সুনামগঞ্জে ১৭ ,সিলেটে ১৮, মৌলভীবাজারে ১৮, হবিগঞ্জে ২১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৯, কুমিল্লায় ২৫, চাঁদপুরে ২৭, ফেনীতে ১২, নোয়াখালীতে ২০, চট্টগ্রামে ২৫, খাগড়াছড়িতে ৫ ও বন্দরবানে ৩টি।

ভোটগ্রহণ সামনে রেখে আগেই নির্বাচনী এলাকায় পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা মাঠে নেমেছেন। এ ছাড়া আচরণবিধি দেখভাল করতে জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও রয়েছেন।