দৃষ্টিনন্দন যত পাখি

দৃষ্টিনন্দন যত পাখি

সংগৃহীত

পাখির অসম্ভব সৌন্দর্যে পাখির রূপের মাঝে হারিয়ে যায়নি এমন মানুষের সংখ্যা পৃথিবীতে নেহাতি কম। ভোরের মিষ্টি রোদের সাথে পাখিদের কলকাকলি, নীল আকাশে ডানা ঝাপটে দল বেধে দেশ থেকে দেশান্তর ঘুড়ে বেড়ানো মুগ্ধ করে যে কাউকে।

পৃথিবীতে এমন কিছু পাখি আছে যাদের দৈহিক গঠন, জমকালো রং এবং অসাধারণ কিছু গুণের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরতম পাখি হিসেবে তারা স্বীকৃতি পেয়ে থাকে।

আটলান্টিক পাফিন: এটি বিশ্বের সবথেকে সুন্দর পাখিদের মধ্যে একটি। সামুদ্রিক এই পাখিটি দৈহিক আকাড়ে বেশ ছোট। আমেরিকা, যুক্তরাষ্ট্র এবং পূর্ব কানাডার উপকূলে এর দেখা মিলে। আটলান্টিক পাফিন প্রতি গ্রীষ্মে আটলান্টিক মহাসাগরের দ্বীপ গুলিতে প্রজনন করে। বহু বর্ণের এবং রঙিন পেঙ্গুইনের মতো দেখতে এই পাখিদের বেশিরভাগ সময় সাগরেই কাটায়। যার ফলে একে সমুদ্রের তোতা বলা হয়।

কীল-বিল্ড টুকান: বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর পাখিদের মধ্যে কিল-বিল্ড টুকান একটি। পাখিটির দৈর্ঘ্য ২০ সেন্টিমিটার এবং সম্ভাব্য ওজন ৪ কেজি। এই পাখি সাধারণ বিভিন্ন বর্ণের হয়। সুন্দর পাখিটির দেখা মেলে সাধারণত দক্ষিণ আমেরিকার বনাঞ্চলে। এই পাখির বিশেষ বৈশিষ্ট্য তাদের লম্বা সুন্দর ঠোট। ঠোটের রং সবুজ, লাল এবং হলুদ মিশ্রিত। পাখিটির ওজন ভারি হওয়ায় বেশিদূর উড়তে পারেনা।

ময়ূর: ভারতের জাতীয় পাখি এটি। ময়ূর সাধারণত ভারতবর্ষেই বেশি দেখতে পাওয়া যায়। ময়ূর তার লেজের সুন্দর প্রদর্শনের জন্য বিশ্ব বিখ্যাত। পেখম মেলা অবস্থায় ময়ূর দেখতে বেশি সুন্দর হয়। সাধারণত বর্ষাকালে এদের লেজের বর্ণময় প্রদর্শন দেখা যায়।

রেইনবো লরিকিট: বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর পাখিদের মধ্যে একটি পাখি এটি। প্রায় ২৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের তোতা যা সাধারণত অস্ট্রেলিয়ায় বেশি দেখা যায়। পাখিটির ওজন প্রায় ৭০ থেকে ১৫০ গ্রাম। এই পাখির মাথার রং গভীর নীল এবং বাকি অংশ সবুজ।

গোল্ডিয়ান ফিঞ্চ: গোল্ডিয়ান ফিঞ্চ চড়ুই জাতীয় পাখি। এই পাখির দৈর্ঘ্য প্রায় ১২০ থেকে ১৪০ মিলিমিটার। এই পাখির মাথার রং লাল, কালো এবং হলুদ হয় এবং পালকের রং সবুজ, নীল এবং হলুদ। এরা ঝাঁক বেধে থাকতে বেশি পছন্দ করে।যা সব ধরনের পাখিদের মধ্যে দেখা যায় না। পাখিটি সাধারণত অস্ট্রেলিয়ায় বেশি দেখা যায়।

কাঠের হাঁস: উড়তে না পারলেও মানা নেই ঘুড়তে। এই পাখি সাধারণত আমেরিকার জলাভূমিতে দেখা যায়। এই পাখির দৈর্ঘ্য প্রায় ৪৬ থেকে ৫৩ সেন্টিমিটার। গাছের মধ্যে ছিদ্র করে বাসা বাঁধার পাশাপাশি এই পাখি সাধারণত স্রোতবহুল জলে বাস করে। এই পাখির মধ্যে পুরুষ পাখি বেশি সুন্দর হয়, তাদের গলার নীচে সাদা শিখা, লাল চোখ এবং বিভিন্ন বর্ণের পালক দেখা যায়। এবং নারী পাখির পালক হালকা রঙিন, চোখে সাদা রিং এবং সাদা গলা আছে।