শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বিধিনিষেধের নতুন মেয়াদেও সকল স্কুল, কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকবে।

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, উন্মুক্ত স্থানে ও ভবন অভ্যন্তরে সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয়/রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে এক শ’র বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে যারা যোগদান করবেন তাদের অবশ্যই করোনা টিকা সনদ/২৪ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর সার্টিফিকেট আনতে হবে।

এর আগে বুধবার নতুন করে দুই সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তার বরাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেন মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের।

এর আগে বুধবারই শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির পর শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকবে কি না, অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় পরামর্শক কমিটি আরও কিছুদিন দেখার পক্ষে মত দিয়েছেন; যেহেতু সংক্রমণ এখন প্রায় ৩০ শতাংশ। হয়তো ৬ তারিখের পর আরও এক সপ্তাহ দেখা যেতে পারে। আমরা নিয়মিত অবস্থা পর্যালোচনা করছি। প্রয়োজনে ভিন্ন সিদ্ধান্তও হতে পারে।

এর আগে করোনা পরিস্থিতি ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় গত ২১ জানুয়ারি থেকে দুই সপ্তাহের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

এদিকে সারা দেশে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় মহামারি করোনাভাইরাসে আরও ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৪৬১ জনে।

বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একই সময়ে নতুন করে আরও ১২ হাজার ১৯৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে করে দেশে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ২৪ হাজার ১৮০ জনে।

এছাড়া সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয় ৪৪ হাজার ৪৫১ জনের। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এই ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন চার হাজার দুই শ’ তিনজন। করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ১৩৭ জন।