ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আড়াই লাখ টাকায় ভর্তির প্রলোভন, আটক ১

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আড়াই লাখ টাকায় ভর্তির প্রলোভন, আটক ১

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আড়াই লাখ টাকায় ভর্তির প্রলোভন, আটক ১

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভর্তিকে কেন্দ্র করে তৎপর হয়ে উঠেছে জালিয়াতি চক্রের সদস্যরা। রবিবার ক্যাম্পাস থেকে চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। চক্রটি এক ভর্তিচ্ছুকে আড়াই লাখ টাকার বিনিময়ে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে ইতোমধ্যেই ১৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে ওই ভর্তিচ্ছু আইন শৃঙ্খলা বাহীনির সাথে যোগাযোগ করলে ক্যাম্পাসের স্মৃতিসৌধ এলাকা থেকে ভর্তি সংক্রান্ত কাগজপত্রসহ আতিকুর রহমান নামের একজনকে আটক করে। আটক আতিকুর ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার রাণীনগরের আবু বক্করের ছেলে। আটকের পর ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী বাদী হয়ে ইবি থানায় মামলা দায়ের করেন। আগামীকাল আটককে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী আহনাফ মুর্শেদ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান অনুষদভূক্ত ‘এ’ ইউনিটে অংশ নেন। পরবর্তীতে ভর্তির জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেন। কিন্তু মেধা তালিকায় নাম না এলে তার বন্ধু অন্য একটি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া বড় ভাইয়ের সহায়তা নিতে বলেন। এরপর ওই বড়ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ভর্তি করিয়ে দিতে আশ্বস্ত করে শৈলকূপার উপজেলার বড়দার লালচাঁন নামে এক ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেন। পরে লালচাঁন ও আতিক ওই ভর্তিচ্ছুকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে ডেকে আড়াই লাখ টাকার বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি করানোর আশ্বাস দেন। এ সময় তারা ভর্তিও জন্য ব্যাংকে টাকা দেওয়ার কথা বলে ভর্তিচ্ছুর থেকে ১৮ হাজার টাকা নেন বলে জানান ভর্তিচ্ছু আহনাফ।

পরবর্তীতে ভর্তিচ্ছু আহনাফ পরিচিত এক কর্মকর্তাকে বিষয়টি বললে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহীনিকে জানান। পরে আহনাফের মাধ্যমে টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জালিয়াতি চক্রের সদস্যদের বিলবিদ্যালয়ের স্মৃতিসৌধে এলাকায় ডাকলে আতিক দেখা করতে আসে।  তখন তাকে আটক করে ডিবি পুলিশ। একটি বিভাগে ভর্তির ফরম পাওয়া যায়। পরে বিলবিদ্যালয়ের প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলে ডিবি পুলিশ আতিককে ইবি থানায় সোপর্দ করেন। তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আতিক লালচাঁন ও রাকিবের নাম জানান এবং তাদের নির্দেশেই ভর্তিচ্ছুর সাথে দেখা করতে ক্যাম্পাসে এসেছেন বলে জানান।

ভর্তিচ্ছু আহনাফ বলেন, ‘পরিচিত এক লোকের মাধ্যমে লালচাঁনের সাথে আড়াই লাখ টাকার চুক্তি হয়। ইতোমধ্যে তাদের ১৮ হাজার টাকা দিয়েছি। পরে আমার বাবা বাঁধা দেওয়ায় ও বিষয়টি অনিশ্চিত জেনে ক্যাম্পাসের পরিচিত এক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে ডেকে এনে পুলিশে ধরিয়ে দেই।’

প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘জালিয়াতি চক্রের ওই সদস্যকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।’ ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ভূক্তভোগী বাদী হয়ে মামলা করেছে। আগামীকাল (সোমবার) আটক ব্যক্তিকে কোর্টে চালান করা হবে।