চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ হার ২ শতাংশের নীচে

চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ হার ২ শতাংশের নীচে

ফাইল ছবি

চট্টগ্রামে পর পর দ্বিতীয় দিনের মতো করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হার ২ শতাংশের নীচে রয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৩৫ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ১ দশমিক ৯২ শতাংশ। তবে এ সময় শহর ও গ্রামে করোনায় কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

করোনা সংক্রান্ত জেলার হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর বারো ল্যাবরেটরিতে গতকাল ১ হাজার ৮২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ৩৫ জনের মধ্যে শহরের ২৪ ও ছয় উপজেলার ১১ জন। উপজেলার ১১ জনের মধ্যে হাটহাজারী ও বোয়ালখালীতে ৩ জন করে, রাউজানে ২ জন, চন্দনাইশ, সন্দ্বীপ ও বাঁশখালীতে একজন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৫১০ জনে। এর মধ্যে শহরের ৯২ হাজার ৬ এবং গ্রামের ৩৪ হাজার ৫০৪ জন। গতকাল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেউ মারা যায়নি। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৪ ও গ্রামের ৬২৮ জন।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৪০৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।

সরকারি পরীক্ষাগার গুলোর মধ্যে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ২৩৭টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১৭টিতে জীবাণু পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৫৯ জনের নমুনায় শহরের ৩ ও গ্রামের একজন পজিটিভ শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৩ টি নমুনারই রিপোর্ট নেগেটিভ হয়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৭৪ নমুনা পরীক্ষা করা হলে একটিতেও ভাইরাস চিহ্নিত হয়নি। বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে পরীক্ষিত ৯ নমুনায়ও জীবাণু মিলেনি। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ৪৩ জনের এন্টিজেন টেস্টে গ্রামের ৭ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়।   

বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ২৬১টি নমুনায় শহরের ২ ও গ্রামের ৩টিতে করোনাভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলেছে। ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১৯৩ জনের নমুনার মধ্যে একজনও সংক্রমিত চিহ্নিত হয়নি। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১৭৪টি নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ১টিতে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এপিক হেলথ কেয়ারে ১১৬ জনের নমুনায় একজন কভিড রোগিও পাওয়া যায়নি। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১০২টি নমুনার মধ্যে শহরের একটিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এভারকেয়ার হাসপাতালে ল্যাবে ৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে সবাই করোনামুক্ত বলে জানানো হয়।

এদিন মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, ল্যাব এইড ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে যায়নি।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৭ দশমিক ১৭ শতাংশ, চমেকহা’য় ৬ দশমিক ৭৮, এন্টিজেন টেস্টে ১৬ দশমিক ২৮, শেভরনে ১ দশমিক ৯১, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ০ দশমিক ৫৭, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ০ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল, চবি, সিভাসু, আরটিআরএল, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার ও এভারকেয়ার হাসপাতালে ০ শতাংশ দশমিক সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।

 সূত্র: বাসস