১০ লাখ মানুষ ইউক্রেন ছেড়েছে

১০ লাখ মানুষ ইউক্রেন ছেড়েছে

১০ লাখ মানুষ ইউক্রেন ছেড়েছে

রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করার এক সপ্তাহের মধ্যে ১০ লাখ ইউক্রেনীয় নাগরিক যুদ্ধ থেকে বাঁচতে দেশ ছেড়েছে।বুধবার রাতে জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি এক টুইট বার্তায় এই তথ্য জানান।

টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘মাত্র সাত দিনে আমরা ইউক্রেন থেকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে দশ লাশ শরণার্থীর চলে যাওয়ার সাক্ষী হলাম।’টুইট বার্তায় তিনি আরো বলেন, ‘ইউক্রেনে থেকে যাওয়া আরো লাখ লাখ লোকের জন্য এখন প্রয়োজন যুদ্ধ বন্ধ হওয়া, যাতে জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা দেয়া যেতে পারে।’

জাতিসঙ্ঘের তথ্য অনুসারে, ইউক্রেনের শরণার্থীদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া প্রায় এক লাখ ১৬ হাজার শরণার্থী হাঙ্গেরি, ৭৯ হাজারের বেশি লোক মলদোভা ও ৭১ হাজার দুই শ’ জন স্লোভাকিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন।সিরিয়ায় ২০১১ সালে আরব বসন্তের জেরে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার পর গত ১১ বছরে প্রায় ৫৭ লাখ শরণার্থী দেশ ছাড়ে। বর্তমানে বিশ্বে সংখ্যার বিচারে সিরীয় শরণার্থীরাই সর্বাধিক।

তবে সিরিয়া ছেড়ে যাওয়া শরণার্থীর সংখ্যা ১০ লাখে পৌঁছাতে ২০১৩ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিলো।জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র শাবিয়া মান্টো বুধবার জানিয়েছিলেন, ইউক্রেন থেকে ‘চলতি গতিতে’ শরণার্থীরা দেশ ছাড়তে থাকলে এটিই বিশ্বের বৃহত্তম ‘শরণার্থী সংকটের’ দেশে পরিণত হবে।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এর জেরে সোমবার বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সৈন্য পাঠায় রাশিয়া।পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে রুশ স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

সূত্র : আলজাজিরা