পাবনায় চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই চক্রের সাত সদস্য আটক

পাবনায় চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই চক্রের সাত সদস্য আটক

পাবনায় চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই চক্রের সাত সদস্য আটক

পাবনা প্রতিনিধি: টানা ৩৬ ঘন্টা অবিরাম অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন স্থানে চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই চক্রের সাত সদস্য আটকসহ ছিনতাই করা ১২ টি ইজিবাইক, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পাবনা পুলিশ।

শুক্রবার দুপুরে পাবনা থানায় এক প্রেসব্রিফিং-এ জানান পুলিশ সুপার  মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান।

পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান জানান, পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলমের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল রোকনুজ্জামান সরকার, এসআই অসিত কুমার বসাকসহ জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি  চৌকস টিম ও এস আই রাসেল কবিরসহ পাবনা সদর থানার একটি টিম পাবনা জেলার ঈশ্বরদী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের ও চুরির মাস্টার মাইন্ড সুমন শেখকে অঅটক করে।

তার দেয়া তথ্যমতে অভিযান পরিচালনা করে পাবনা-কুষ্টিয়া ,সিরাজগঞ্জ ও নাটোর জেলার বিভিন্ন স্থান হতে হত্যাকান্ডের ঘটনায় চুরি হওয়া ২টি অটো ইজি বাইক, চোরাই সন্ধিগ্ধ অটো ইজি বাইকসহ মোট ১২ টি অটো ইজি বাইক উদ্ধার করা হয় এবং ইজি বাইক চুরি ও হত্যাকান্ডের মাস্টার মাইন্ড সুমনসহ ঘটনার সাথে জড়িত সক্রিয় দলের সদস্য মোট ৭ জন আসামিকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন-পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার তিনজন। তারা হলেন-উপজেলার অভিরামপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়া (৪৫), দেবত্তর উত্তরপাড়া গ্রামের বজলুর রহমান (২৪) এবং অভিরামপুর গ্রামের হাসান আলী (২৫),   কুষ্টিয়ার খোকশা উপজেলার  হেলালপুর গ্রামের সুমন শেখ (৩০), নাটোরের বড়াইগ্রামের শামীম মিয়া (২৫), চক বড়াইগ্রামের শরিফুল ইসলাম (২৬) ও বড়াইগ্রামের বাজিতপুর এলাকার রফিকুল ইসলাম (২৪)।

পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান জানান, গত বছরের ৩ ডিসেম্বরে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের একটি পুকুর থেকে সদর থানার দক্ষিণ রাঘবপুর এলাকার তাজউদ্দীনের ছেলে ইজিবাইক চালক জাহাঙ্গীর আলমের (৬০) মুতদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি সদর থানার মনোহরপুর মসজিদের সামনে থেকে শহরের সাধুপাড়ার খইম উদ্দিনের ছেলে ইজিবাইক চালক রইচ উদ্দিনের (৬০) মৃতদহ উদ্ধার করা হয়। দুইজনকে চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ানোর পর হত্যা করে তাদের ইজিবাইক ছিনতাই করে নিয়ে যায় খুনিরা।

তিনি জানান, প্রথম ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ধারণা করা হয় দুটি ঘটনায় একই চক্র জড়িত। একপর্যায়ে জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস টিম ও পাবনা সদর থানার একটি টিম ঈশ্বরদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ড ও ছিনতাইয়ের মাস্টারমাইন্ড সুমন শেখকে আটক করে। সুমনের  দেয়া তথ্য মতে পাবনা, কুষ্টিয়া, সিরাজগঞ্জ ও নাটোরের বিভিন্ন স্থান থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত চক্রের সক্রিয় আরও ছয় সদস্যকে আটক করা হয়। এ সময় হত্যার পর ছিনতাই হওয়া দুটি ইজিবাইক ও চোরাই আরও ১০টি ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও চোরাই ইজিবাইক বিক্রির ৩৪ হাজার টাকা ও ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত সাতটি ফোন জব্দ করা হয়।

প্রেসব্রিফিং-এ উপস্থিত ছিলেন-পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ), মোঃ মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রোকনুজ্জামান সরকার, পাবনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম, উপপরিদর্শক (এসআই) অসিত কুমার বসাক, উপপরিদর্শক (এসআই) রাসেল কবির প্রমুখ