মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তার সঙ্গে এমপি জলির ‘দ্বন্দ্বের’ অবসান

মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তার সঙ্গে এমপি জলির ‘দ্বন্দ্বের’ অবসান

মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তার সঙ্গে এমপি জলির ‘দ্বন্দ্বের’ অবসান

বিশ্ব নারী দিবসে চিঠি দেরিতে দেয়াকে কেন্দ্র করে পাবনায় মহিলা এমপি’র সঙ্গে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের ‘দ্বন্দ্বের অবসান’ হয়েছে।

পাবনা জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কানিজ আইরিন জাহান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাবনা-সিরাজগঞ্জ আসনের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নাদিরা ইয়াসমিন জলি এবং পাবনা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কর্মকর্তা কানিজ আইরিন জাহানের মধ্যে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের অনুষ্ঠানে দেরিতে দাওয়াত দেয়াকে কেন্দ্র করে ভুল বোঝাবুঝি (দ্বন্দ্ব ) হয়।

এই অনভিপ্রেত ঘটনা ও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পাবনাসহ দেশ জুড়ে তোলপাড় হয়। তার একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য পাবনা জেলার বিশিষ্ট মহল গুণীজনদের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুন্নাহার জলি ও পাবনা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইতি হোসেন স্বপ্না মধ্যস্থতা বৈঠক আয়োজন করে। সেখানে দু’জনের মধ্যে একটি শান্তিপূর্ণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

আগামীতে তারা মিলেমিশে একসঙ্গে সব সরকারি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবেন বলে কানিজ আইরিন জাহান অভিমত ব্যক্ত করেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আসার পর কানিজ আইরিন জাহানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলেন, ‘প্রেস বিজ্ঞপ্তির বাইরে আমার বলার কিছু নেই।’

সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নাদিরা ইয়াসমিন জলি বলেন, ‘আমার মোবাইল থেকে আমি কাউকে কল করিনি এবং কাউকে বকিনি। তার পরেও আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে ব্লেইম দেয়া হয়েছে। তারপরেও উনি আমার বাসায় এসে তার কাজের জন্য ভুল বুঝতে পারায় এবং কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা করায় বিষয়টি শেষ হয়ে  গেছে।’

এর আগে পাবনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব নারী দিবসের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিতে দেরি হওয়ায় সংসদ সদস্য নাদিয়ার ইয়াসমিন জলি থাপ্পড় দিয়ে ১০ মিনিটে কানিজ আইরিনকে পাবনা ছাড়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ আসে। তা অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তার কণ্ঠ বিকৃতি করা হয়েছে বলে নাদিয়া ইয়াসমিন জলি সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন।