নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে : সিইসি

নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে : সিইসি

নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে : সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা একটা কষ্টসাধ্য কাজ। তারপরও চেষ্টা করতে হবে। এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমরা চেষ্টা করবো।’আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের সাথে সংলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। 

ভোটের আগে এবং ভোটের পরে ভোটারদের নিরাপত্তার সম্পর্কে সিইসি বলেন, ‘ভোটার সেন্টারে যেতে পারবে কিনা?  ভোটার তার সেন্টার থেকে বের হয়ে নিরাপদ কিনা? ওসি-ডিসিদের মাধ্যমে ওই জায়গাটা দেখতে পারলে ভালো হয়। নির্বাচন কমিশনের বিধি-বিধানের অভাব নেই। কিন্তু এনফোর্সমেন্টের ঘাটতি রয়েছে। এনফোর্সমেন্ট ক্যাপাসিটিটা আরও বর্ধিত করতে হবে।’

সিইসি বলেন, ‘এটা সত্য কথা আমাদের সাহস থাকতে হবে। সাহসের পেছনে থাকতে হবে সততা। আমাদের হারানোর কিছু নেই। পাওয়ার কিছুও নেই। জীবনের শেষ প্রান্তে আমরা ইতিবাচক যদি কিছু করতে পারি, আপনাদের সাজেশনের আলোকে নির্বাচনটা যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায় সবার অংশগ্রহণে, সেটা একটা সফলতা হতে পারে।’

শতভাগ সফলতা হয়তো কখনও সম্ভব না উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘কেউ বলেছেন এটা যদি ৫০ শতাংশ ৬০ শতাংশ গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে এটাও একটা বড় সফলতা।’তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের ইলেকশন খুব সুন্দর হয়েছে। ইভিএমের মাধ্যমে এটা একটা বড়দিক বলে মনে করেন তিনি।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএমের) বিপক্ষে অনেকেই বলেছেন উল্লেখ করে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এটার মধ্যে কোনও অসুবিধা আছে কিনা, এটা ব্যবহারে অনেকেই অভ্যস্ত নয়। মেশিনের মাধ্যমে কোনও ডিজিটাল কারচুপি হয় কিনা, পৃথিবীর অনেক দেশ ইভিএম বাতিল করে দিয়েছে, কেন করলো সেটা গবেষণা করা উচিত। আবার যদি কোনোরকম কারচুপি হয়ে থাকে, তাহলে রিকাউন্টিং করা যাবে কিনা, এটার কোন ব্যবস্থা আছে কিনা, এটা আমাদের বুঝতে হবে। আমাদের টেকনিক্যাল কমিটির মিটিং করে একটা ধারণা নিতে হবে।’ নির্বাচনে যাতে ধর্মের ব্যবহার না হয়, সেটাও আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখবো বলে উল্লেখ করেন সিইসি।

এ সময় বিশিষ্ট নাগরিকরা জাতীয় নির্বাচনে সবার ঐকমত্য ছাড়া ইভিএম ব্যবহার না করা, ভোটারদের বাধাহীনভাবে ভোটদানের অধিকার নিশ্চিত করা, ভোটের আগে-পরে ভোটারদের বিশেষ করে নারী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, নির্বাচনকালীন প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে আনার পরামর্শ দেন।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, সিপিডি’র বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রমুখ সংলাপে বক্তব্য দেন।

সূত্র : বাসস