বেকারদের জন্য ভাতা চালুর প্রস্তাব কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের

বেকারদের জন্য ভাতা চালুর প্রস্তাব কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের

ছবি: সংগৃহীত

কর্মে ইচ্ছুক থাকলেও কর্ম পাচ্ছে না-এমন জনগোষ্ঠীর জন্য বেকারভাতা চালুর প্রস্তাব রেখে ‘কর্মসংস্থান নীতি-২০২২’ শিরোনামের খসড়া চূড়ান্ত করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

এটি মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে পরিচয়পত্রের তথ্যের ভিত্তিতে জাতীয় কর্মসংস্থান তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলা হবে। এতে কর্মে আগ্রহী ব্যক্তির পেশাগত দক্ষতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতাসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ডাটাবেজে থাকবে।

এ নীতির আলোকে দক্ষ জনশক্তি ব্যবস্থাপনায় ‘কর্মসংস্থান অধিদপ্তর’ ও ‘জাতীয় ক্যারিয়ার গাইডেন্স কাউন্সিল’ গড়ে তোলা হবে। যা দেশে কর্মশক্তিকে ভবিষ্যতের যে কোনো পর্যায়ের জাতীয় এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপযোগী করে তুলতে পারে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের কমপক্ষে অর্ধকোটির বেশি মানুষের কর্মদক্ষতাকে আরও উন্নত পর্যায়ের কর্মদক্ষতায় রূপান্তর করতে হবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবকে সামনে রেখে বিশাল এ কর্মযজ্ঞ সম্পাদন করতে না পারলে বাংলাদেশের অব্যাহত অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত হবে।

 

নীতির খসড়ায় বলা হয়েছে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রতিবছর অতিরিক্ত ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি আয়ের প্রত্যাশা নিয়ে দেশব্যাপী ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা কার্যক্রম চালাচ্ছে সরকার। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা, ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্য আয়ের দেশ, ২০৭১ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ পেরিয়ে সর্বোপরি ২১০০ সালের মধ্যে নিরাপদ ব-দ্বীপ গঠনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এ নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। এসব মহাকর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রয়োজন প্রশিক্ষিত দক্ষ জনবল।