শ্রীলঙ্কাকে চিকিৎসা সহায়তা দিল বাংলাদেশ

শ্রীলঙ্কাকে চিকিৎসা সহায়তা দিল বাংলাদেশ

শ্রীলঙ্কাকে চিকিৎসা সহায়তা দিল বাংলাদেশ

প্রতিটি দেশই কোনো না কোনোভাবে নিজস্ব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, এই কঠিন সময়ে পারস্পরিক সহযোগিতা আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রয়োজনীয়।তিনি বলেন, করোনার প্রভাবে পণ্য উৎপাদন ও বিক্রয় ব্যাহত এবং রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শ্রীলঙ্কার কাছে চিকিৎসা সহায়তা হস্তান্তরকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।তিনি বলেন, ‘আমরা শ্রীলঙ্কাকে যতটা সম্ভব সহায়তা করতে প্রস্তুত আছি।’

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজের (বিএপিআই) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এবং বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার প্রফেসর সুদর্শন সেনেভিরত্নে উপস্থিত ছিলেন।

বন্ধু ও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে মোমেন বলেন, সঙ্কটের সময়ে শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়ানোটাও বাংলাদেশের সৌভাগ্যের বিষয়। এটা প্রমাণ করে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গতিপথ সঠিক পথে রয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ বছর দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করছে। শ্রীলঙ্কার বন্ধুত্বপূর্ণ জনগণকে বাংলাদেশ সরকারের এই চিকিৎসা সহায়তা দু’দেশের মধ্যকার সংহতি ও বন্ধুত্বের বহিঃপ্রকাশ।গত ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী হিসেবে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা বজায় রেখেছে।

তিনি বলেন, আমাদের দুই দেশ অভিন্ন ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার, অভিন্ন সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ, একই রকম উন্নয়নমূলক আকাঙ্ক্ষা এবং অভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সহায়তার ক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতা ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশের অন্যতম উল্লেখযোগ্য অর্জনের প্রতীক।তিনি বলেন, উচ্চমান এবং প্রতিযোগিতামূলক মূল্যের কারণে বাংলাদেশী পণ্য এখন বিশ্বব্যাপী ওষুধের বাজারে সুনাম অর্জন করেছে।

ঈদের ছুটির ভেতর শ্রীলঙ্কার জন্য চিকিৎসা সামগ্রীর ব্যবস্থা করায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও তার দল এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান মোমেন।এছাড়াও তিনি স্থানীয় ওষুধ কোম্পানি ও উদ্যোক্তাদের উদার সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান।

সূত্র : ইউএনবি