সিভিয়ারোদনেৎস্কে ব্যাপক গোলাবর্ষণ, ২ বেসামরিক ব্যক্তির মৃত্যু

সিভিয়ারোদনেৎস্কে ব্যাপক গোলাবর্ষণ, ২ বেসামরিক ব্যক্তির মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

লুহানস্ক অঞ্চলে সিভিয়ারোদনেৎস্ক শহরে ব্যাপক গোলাবর্ষণ শুরু করেছে রাশিয়া। মৃত্যু হয়েছে দুই বেসামরিক ব্যক্তির।

লুহানস্কের গভর্নর জানিয়েছেন, বিশাল পরিমাণ রাশিয়ার সৈন্য সিভিয়ারোদনেৎস্ক শহরটি ঘিরে ফেলেছে। লাগাতার শহরের ভিতর বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে। শুধু সামরিক কাঠামো নয়, বেসামরিক বাড়ির উপরেও গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত দুই বেসামরিক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন লুহানস্কের গভর্নর।

তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সেনা ক্রমশ শহরের ভিতরে ঢুকে পড়ছে। এই শহরটিও তারা দখল করে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এর আগে এই অঞ্চলে আরো বেশ কিছু এলাকা রাশিয়া দখল করে নিয়েছিল।

তবে এই শহরটির প্রতিবেশী অঞ্চলগুলো এখনো ইউক্রেনের দখলে আছে বলে জানিয়েছেন গভর্নর। সেখান থেকে বেসামরিক মানুষদের দ্রুত অন্যত্র পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। একইসাথে ইউক্রেনের এই পরিস্থিতির জন্য জার্মানি এবং হাঙ্গেরিকে দায়ী করেছেন তিনি।

তার বক্তব্য, তারা সময় মতো অস্ত্র সরবরাহ করলে তাদের এভাবে রাশিয়ার হাতে নিজেদের শহর ছেড়ে দিতে হতো না।

জেলেনস্কির আবেদন
ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সভায় সোমবার ভিডিও বক্তৃতা দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তার বক্তৃতা দিয়েই এদিনের অধিবেশন শুরু হয়েছে। সেখানে ইউরোপীয় নেতাদের কাছে কাতর আর্জি জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

তার বক্তব্য, ইউরোপ যদি ঐক্যবদ্ধভাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, রাশিয়া তাহলে তা নিজেদের জয় হিসেবে দেখবে। বস্তুত, রাশিয়ার বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধভাবেই ব্যবস্থা নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কিন্তু ষষ্ঠ নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ নিয়ে মতানৈক্য শুরু হয়েছে। এই প্যাকেজেই তেলের উপর এমবার্গো বা নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে। হাঙ্গেরির নেতৃত্বে স্লোভাকিয়া, চেক রিপাবলিক, বুলগেরিয়ার মতো দেশগুলো ওই নিষেধাজ্ঞা মানতে রাজি হচ্ছে না।

জেলেনস্কির বক্তব্য, এখন নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাশিয়ার উপর ইউরোপের চাপ দেয়ার সময়। কিন্তু ইউরোপ যদি নিজেরাই ঐক্যবদ্ধ হতে না পারে, তাহলে রাশিয়া তা জয় হিসেবে ধরে নেবে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে