যশোরে হত্যার মামলার আসামীকে মৃত্যুদন্ড ও জরিমানা

যশোরে হত্যার মামলার আসামীকে মৃত্যুদন্ড ও জরিমানা

ছবি: যশোর প্রতিনিধি

যশোর প্রতিনিধি

যশোর সদর উপজেলার সালতা গ্রামের মিনারুল হত্যা মামলায় ওসমানপুর গ্রামের হাফিজুর রহমানের মৃত্যুদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত। আজ যশোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক এ আদেশ দেন।

পিপি এম. ইদ্রিস আলী জানান, দন্ডপ্রাপ্ত হাফিজুর রহমান একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। তার ছোট ভাই আব্দুল মান্নানের বন্ধু ছিলেন নিহত মিনারুল। মান্নান বাড়িতে দর্জির কাজ করতেন। মিনারুল দর্জির কাজ শেখার জন্য মান্নানের বাড়িতে যাতায়াতের ফলে হাফিজুরের স্ত্রী সাবিনার সাথে মিনারুলের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে। ঘটনাটি জানাজানি হলে হাফিজুরের কাছে ক্ষমা চান মিনারুল। পরবর্তীতে হাফিজুর তার স্ত্রী সাবিনাকে তালাক দিয়ে আরেকটি বিয়ে করে। কিন্তু হাফিজুরের মনে ক্ষোভ না কমায় সে মিনারুলকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে।  সে অনুযায়ী ২০১৯ সালের ১৪ আগষ্ট রাতে মিনারুলকে ইশারায় ডেকে বাড়ির পাশে বাগানে নিয়ে যায় হাফিজুর। এরপর দা দিয়ে হাফিজুর মিনারুলকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মিনারুলের বড় ভাই আক্তারুজ্জামান বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে পুলিশ হাফিজুরকে আটক করে হত্যায় ব্যবহৃত দা উদ্ধার করে। হাফিজুরকে আদালতে সোপর্দ করলে সে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। পরবর্তীতে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম মল্লিক তার জবানবন্দি গ্রহন শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সেই থেকেই হাফিজুর কারাগারে আটক রয়েছেন। এক পর্যায় ২৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে আজ আসামির উপস্থিতিতে আদালত এ মামলার রায় ঘোষনা করেন।

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি হাফিজুর রহমান সদরের ওসমানপুর গ্রামের চান্দালী মোল্লার ছেলে।

নিহত মিনারুল সালতা গ্রামের মৃত সদর আলী মোল্লার ছেলে।