কুষ্টিয়ায় আলোচিত পৃথক দুটি হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

কুষ্টিয়ায় আলোচিত পৃথক দুটি হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

কুষ্টিয়ায় আলোচিত পৃথক দুটি হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

কুষ্টিয়ায় আলোচিত দুটি হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। সদর উপজেলার কবুর হাট শিশির মাঠে হোমিও চিকিৎসক মীর সানাউর হত্যার বহুল আলোচিত মামলায় চার আসামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। আজ ১১ আগষ্ট বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালত ১ এর বিজ্ঞ বিচারক তাজুল ইসলাম ৩২৬/৩০৭/৩০২/৩৪ ধারায় আসামীদের বিরুদ্ধে এ রায় ঘোষনা করেন। এসময় আসামীরা আদালতে উপস্থিতি ছিলেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, খাজাঁনগর এলাকার আজিজুল ইসলাম (২৩), সাইজুদ্দিন কাজি (২৮), সাইফুল ইলাম খান (৩৫) ও কবুরহাট এলাকার জয়নাল সর্দার (৩৬)। প্রত্যেকের ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছর করে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমান না হওয়ায় অন্য ৬ আসামীকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

কুষ্টিয়া আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দ্বী জানান, ২০১৬ সালের ২০ মে সকালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক বন্ধু সাইফুজ্জামানকে সাথে নিয়ে মীর সানাউর রহমান (৫৭) কুষ্টিয়ার মজমপুর থেকে মটরসাইকেল ডোগে বটতৈল শিশির মাঠে বাগান বাড়ি যাচ্ছিলেন। কবুরহাট এলাকায় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা দূর্বত্তরা চা-পাতি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে দু’জনকে এলোপাথারি কোপায়। ঘটনাস্থলেই মারা যায় মীর সানাউর। গুরুতর আহত হয় বন্ধু সাইফুজ্জামান। পরে নিহত মীর সানাউর রহমানের ভাই মীর আনিছুর রহমান কুষ্টিয়া সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে, কুমারখালীতে ব্যবসায়ী রিয়াজুলকে ছুরিকাঘাতে হত্যার দায়ে দুই আসামী চাচা ও ভাতিজার যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। দুপুরে বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারক আশরাফুল ইসলাম আসামী চাচা সিফাত বিশ্বাস ও ভাতিজা ওয়াসিম আলীর উপস্থিতিতে এ রায় দেন। দুজনকেই ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। অপর ৭ আসামীকে খালাস দেন আদালত।

২০১৭ সালের ২৩ এপ্রিল বিকেল ৫টায় কুমারখালী উপজেলার বাড়াদি গ্রামে সাউন্ড বক্স বাজানো নিয়ে বিরোধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রিয়াজুলকে হত্যা করা হয়। নিহতের ছেলে শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। রায় শেষে আসামীদের পুলিশ পাহারায় কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে নেয়া হয়।