রবিন্দ্রনাথের ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতাকে নাট্যরূপ দিল ইবি থিয়েটার কর্মীরা

রবিন্দ্রনাথের ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতাকে নাট্যরূপ দিল ইবি থিয়েটার কর্মীরা

রবিন্দ্রনাথের ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতাকে নাট্যরূপ দিল ইবি থিয়েটার কর্মীরা

রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত কবিতা ‘জুতা আবিষ্কার’ অবলম্বনে একই নামে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পথ নাটক প্রদর্শিত হয়েছে। শনিবার দুপুর একটায় ক্যাম্পাসের ডায়না চত্বরে কবিতায় বর্ণিত ঘটনাকে নাট্যরূপে পরিবেশন করে বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার। থিয়েটারের সদস্যরা নাটকটির মাধ্যমে সমাজের অবহেলিতদের দ্বারা সভ্যতায় অবদানের চিত্র তুলে ধরেন। সংগঠনটির উপদেষ্টা গাউছুল আজম রিন্টুসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত থেকে নাটকটি উপভোগ করেন।

থিয়েটারের সহসভাপতি কৌশিক আহমদের দিকনির্দেশনায় নাকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন  বদরুল আমিন পিয়াস, আব্দুল মমিন নাহিদ, তাজনিয়া লাবণ্য, মাহমুদুজ্জামান নিশান, আদনান আলিম পাটোয়ারী, মাহির আল-মুজাহিদ, পারিজাত সুলতানা. কুলছুম আক্তার এবং মোনালিসা মুনা। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ান আহমেদ, সহ-দফতর সম্পাদক ইমরান নাজির ও কার্যনির্বাহী সদস্য শিহাব উদ্দীন নাটকটি পরিবেশনে সার্বিক সহযোগিতা করেন।

নাকটির দৃশ্যপটে দেখা যায়, রাজা হবু হাটতে গেলে পায়ে লাগা ধুলো নিয়ে চিন্তায় পড়েন এবং ধুলো যেন না লাগে সেই ব্যবস্থা নিদে মন্ত্রীদের কড়া নির্দেশ দেন। মন্ত্রীরা পরামর্শ করে ১৭ লক্ষ ঝাটা দিয়ে পুরো রাজ্য ঝাড়ু দিতে থাকে। এতে রাজ্য ধুলোয় ঢেকে গিয়ে সবার কাশিতে মরার উপক্রম হয়। এই পন্থা অকার্যকর হলে আবারো পরামর্শ করে পুরো রাজ্য পানিতে ভিজিয়ে ধুলো কমানোর সিদ্ধান্ত নেন। এতে পুকুর, নদী সব শুকিয়ে গিয়ে রাজ্য কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে আর সকলের জ¦র-সর্দি শুরু হয়।

এরপর মন্ত্রীরা পরামর্শ করে পুরো রাজ্য চামরার মাদুরে ঢেকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে রাজ্যে যোগ্য চামার খুঁজতে ছুটোছুটি শুরু হলো। এরপর বৃদ্ধ এক চর্মকার (মুচি) রাজার দুই পা চামড়া দিয়ে ঢাকার পরামর্শ দিলেন। রাজা তাকে অনুমতি দিলে তিনি পা চামড়ায় মুড়িয়ে দেন। সেই থেকে রাজার পা ধুলোমুক্ত হলো। আর এভাবেই জুতা আবিষ্কার হয় ও রাজ্য রক্ষা পায়।

বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটারের সভাপতি আব্দুল মমিন নাহিদ বলেন, জুতা আবিষ্কার কবিতার মতো আমাদের সমাজেও অবহেলিত মানুষের অনেক অবদান আছে। তবে তাদের কৃতিত্ব অনেক সময় চাপা পড়ে যায়। অবহেলিত মানুষের শ্রমের মূল্য প্রদানে সচেতনতা সৃষ্টির জন্যই আমাদের এই পরিবেশনা।