কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় একযুগ পূর্বে ঘটে যাওয়া একটি হত্যাকান্ডের মামলায় এক জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডসহ দুইজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালহত। আজ মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ আদালতের বিচারক মো: আশরাফুল ইসলাম দ্ইু আসামীর উপস্থিতিতে জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজা প্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়া ভেড়ামারা উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা ফারুক হোসেনের ছেলে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী আনোয়ার হোসেন (৪০), তার সহোদর ২বছর সাজাপ্রাপ্ত কনক (৩৩) এবং একই এলাকার বাসিন্দা শরি উদ্দিনের ছেলে ৪বছর সাজাপ্রাপ্ত রফিক (৪৯)।

আদালতের মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৯ মে সকাল ১০ টায় জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্দের জেরে পূর্ব শত্রুতা বশত: ভেড়ামারা উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের কৃষক রজব আলীকে বাড়ির পাশর্^স্ত জমির সীমানা মাপজোক চলাকালে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে উপর্যুপরি  কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে প্রতিপক্ষরা। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই ইদবার মন্ডল হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে প্রতিপক্ষ ফারুক হোসেন ও তার দুই পুত্রসহ ৬জনের নাম উল্লেখ করে ভেড়ামারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর ০৬জনের বিরুদ্ধে রজব আলী হত্যায় জড়িত অভিযোগ এনে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভেড়ামারা থানার উপপুলিশ পরিদর্শক শওকত আলী।  

কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ আদালতের রাষ্ট্র পক্ষের কৌঁসুলি এ্যাড. রফিকুল ইসলাম লালন জানান, ভেড়ামারা থানার জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্দে কৃষক রজব আলীকে হত্যার দায়ে আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ৩জনের বিরুদ্ধে সন্দেহাতীত প্রমানিত হওয়ায় আসামী আনোয়ার হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদ- এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬মাসের কারাদ-, আসামী রফিককে চার বছরের কারাদ- এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬মাসের কারাদ এবং কনককে দুই বছরের কারাদ- এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬মাসের কারাদ-াদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে মামলার আনীত অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় ফারুক, আনোয়ারা ও মমতাজকে এই মামলা থেকে অব্যহতি দেন আদালত।