ইরানের বিপ্লবী গার্ডের নেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে কানাডা

ইরানের বিপ্লবী গার্ডের নেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে কানাডা

ইরানের বিপ্লবী গার্ডের নেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে কানাডা

ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) শীর্ষ কর্মকর্তাদের কানাডায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করবে দেশটির সরকার। পাশাপাশি ইরানে নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ এবং ২০২০ সালে একটি বেসামরিক বিমান ভূপাতিত করার কারণে আরো নিষেধাজ্ঞা জারির কথাও বলা হয়েছে।

সম্প্রতি নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে ২২ বছর বয়সী মাশা আমিনের মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় ইরান ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক নিন্দা এবং দেশব্যাপী প্রতিবাদের মুখোমুখি হচ্ছে। শুক্রবার একজন ইরানি কর্মকর্তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অস্বীকার করেছে। যেখানে বলা হয়েছিল যে হেফাজতে থাকা অবস্থায় মাশা আমিনের মাথায় এবং বিভিন্ন অঙ্গে আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়া ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ইউক্রেনীয় ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান গুলি করে ভূপাতিত করার বিষয়েও ইরানকে চাপ দিচ্ছে। ওই ঘটনায় নিহত ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ কানাডার নাগরিক ছিল।

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তার ডেপুটি ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড বলেন, কানাডা ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর এবং একটি নিষেধাজ্ঞা ব্যুরো প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করছে।

আইআরজিসি একটি শক্তিশালী বাহিনী, যা একটি ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করে। শুধু তা-ই নয় ইরানের অভিজাত সশস্ত্র এবং গোয়েন্দা বাহিনীকেও নিয়ন্ত্রণ করে তারা। পশ্চিমা দেশগুলো এই বাহিনীকে একটি বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী অভিযান চালানোর জন্য অভিযুক্ত করেছে। তবে ইরান এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

ফ্রিল্যান্ড বলেন, ‘আইআরজিসি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।’ যদিও সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এটিকে তালিকাভুক্ত করা বন্ধ করে দিয়েছে।এই বাহিনীকে অভিবাসন ও শরণার্থী সুরক্ষা আইনের অধীনে শ্রেণীবদ্ধ করা হবে। এবং সবচেয়ে গুরুতর যুদ্ধাপরাধের জন্য অভিযুক্ত সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবে কানাডা।

এই পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে আইআরজিসির নেতৃস্থানীয় ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ১০ হাজারেরও বেশি কর্মকর্তা এবং সিনিয়র সদস্যদের কানাডায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা।ট্রুডো বলেছেন, ‘এটি হলো আমাদের নেয়া সবচেয়ে শক্তিশালী পদক্ষেপ।’

সূত্র : আরব নিউজ