রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনায় মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিচ্ছে তুরস্ক

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনায় মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিচ্ছে তুরস্ক

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনায় মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিচ্ছে তুরস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কাজাখস্তানে এক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

এর আগে ক্রেমলিনের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন যে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতার জন্য মি. এরদোয়ান 'আনুষ্ঠানিকভাবে' এক প্রস্তাব দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।ইউক্রেনের ওপর রাশিয়া আক্রমণ করার পরপরই তুর্কি নেতা দু'পক্ষের মধ্যে আলোচনার আয়োজন করেন। কিন্তু প্রক্রিয়াটি ব্যর্থ হয়।

গত জুলাই মাসে কৃষ্ণ সাগরের মধ্য দিয়ে ইউক্রেনীয় বন্দরগুলি থেকে শস্য জাহাজগুলিকে যাবার অনুমতি দেয়ার জন্য তুরস্ক একটি চুক্তিতেও সাহায্য করেছিল।এই চুক্তির আওতায় ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে বন্দী বিনিময় আবার শুরু করার অনুমতি দেয়া হয়।

বিবিসি একজন সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, কিয়েভ ও মস্কোর সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্কের সুবাদে নেটোর সদস্য দেশ তুরস্ক এখন যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছে।

তিনি লিখছেন, কিন্তু ইউক্রেন এখন কীভাবে কোন আলোচনায় যুক্ত হবে তা বলা বেশ কঠিন, এমনকি প্রায় অসম্ভব।কিয়েভের কর্মকর্তারা বলছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী তাদের ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করা এবং দীর্ঘদিন ধরে থাকা অবস্থান পরিত্যাগ করতে রাশিয়াকে বাধ্য করায়, মস্কোর সরকার হয়তো এখন সংঘাত থামিয়ে রাখার একটি উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

এসব বিপর্যয়ের জন্য দেশের ভেতরেই পুতিন সরকার সমালোচনার মুখোমুখি হচ্ছে। বিশৃঙ্খলভাবে সেনা মোতায়েনের জন্য রাশিয়ায় যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে, যা এক বিরল ঘটনা। জোর করে সেনাবাহিনীতে নিয়োগের সিদ্ধান্তের পর হাজার হাজার নারী-পুরুষ দেশত্যাগ করেছেন।

রাশিয়া ইউক্রেনের বেসামরিক জায়গাগুলিতে আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়েছে। শীত মৌসুমের আগে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো জরুরি অবকাঠামোর ক্ষতি করেছে, যা যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজয়ের জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রতিশোধ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

গত সোমবার ইউক্রেনের প্রধান শহরগুলোর ওপর ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা কিছু মানুষকে হতবাক করেছে এবং অনেককেই ক্ষুব্ধ করেছে। তবে এসব ঘটনা ইউক্রেনের লড়াইয়ের সংকল্পকে প্রভাবিত করতে পারেনি।

গত সপ্তাহে, চারটি ইউক্রেনীয় অঞ্চলকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়া নিজের অংশ বলে ঘোষণা করার পর প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি মি. পুতিনের সাথে কোন আলোচনার সম্ভাবনাকে 'অসম্ভব' বলে বর্ণনা করেন। তবে এরপরও রাশিয়ার জন্য সংলাপের দরজা খোলা রাখেন।পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র হাতে পাওয়ার পর ইউক্রেন রুশ অধিকৃত সব এলাকা পুনরুদ্ধার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

সূত্র : বিবিসি