মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে কিশমিশ

মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে কিশমিশ

ছবি:সংগৃহীত

প্রতিদিন ১০-১২টি করে কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস করলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়। কিশমিশে আছে বোরন নামের একটি উপাদান। এই উপাদানটিই মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। শিশুদের পড়ায় মনোযোগী হতেও ভূমিকা রাখে বোরন। কিশমিশে আছে পটাশিয়াম, যা রক্ত থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করে দিয়ে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কিশমিশে খারাপ কোলেস্টেরল রয়েছে শূন্য শতাংশ। কিশমিশের স্যালুবল ফাইবার দেহের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে ভূমিকা রাখে। এক কাপ পরিমাণ কিশমিশ থেকে প্রায় চার গ্রাম স্যালুবল ফাইবার পাওয়া যায়।
চোখের সুরক্ষায় কিশমিশ বেশ উপকারী। প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস করলে বার্ধক্যজনিত চোখের সমস্যা থাকে না। কিশমিশের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং পলিফেলন ম্যাকুলার ডিগ্রেডেশন প্রতিরোধ করে চোখের সুরক্ষা দেয়। কিশমিশের ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম পাকস্থলীর অ্যাসিডিটি দূর করতে সহায়ক। এ ছাড়া কিশমিশের টারটারিক অ্যাসিড হজম সমস্যা দূর করে পরিপাকতন্ত্রের সুরক্ষা দেয়। আর যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন, তারাও কিশমিশ খেতে পারেন।

কারণ কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। যার স্বল্পতায় রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকায় অনেকে মনে করেন এটি দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু চিনির পাশাপাশি কিশমিশে রয়েছে ওলিনোলিক অ্যাসিড, যা মুখের ভেতরে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাধা দেয় এবং দাঁতের ক্যাভিটি প্রতিরোধে কাজ করে। তবে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য কিশমিশ খাওয়া ক্ষতির কারণ হতে পারে।