৩০ বছর আগের ওয়াসিম আকরাম হতে পারবেন শাহিন আফ্রিদি?

৩০ বছর আগের ওয়াসিম আকরাম হতে পারবেন শাহিন আফ্রিদি?

ছবি: সংগৃহীত

ওয়াসিম আকরাম সর্বকালের অন্যতম সেরা বাঁ-হাতি ফাস্ট বোলার। কারো কারো চোখে শুধু বা-হাতিদের মধ্যেই নয়, পেসারদের মধ্যেও ওয়াসিম আকরাম এক নম্বর। তার বহুমাত্রার পেস বোলিং, নিখুঁত লাইনলেন্থ, সুইং আর ইয়র্কারের সুনাম মুখে মুখে। টেস্ট আর ওয়ানডে মিলে যার নামের পাশে ৯১৬ উইকেট।

আশি ও নব্বইয়ের দশকের সব বাঘা বাঘা ব্যাটার যাকে খেলতে গিয়ে ঘেমে নেয়ে উঠতেন। যার নাম হয়েছে ‘সুলতান অফ সুইং।’ সেখানে শাহিন শাহ আফ্রিদি এখনো কিছুই নন। তাহলে ওয়াসিম আকরামের মতো গ্রেটের সাথে তার নাম উচ্চারণই বা হচ্ছে কেন? ’৯২-এর ফাইনালেও ভাগ্য ছিল পাকিস্তানের অনুকূলে। ম্যাচের টপ স্কোরার ইমরান খান ১১০ বলে ৭২ রান করার পথে জীবন পান এবং সেটা যার-তার হাতে নয়।

খোদ ইংলিশ ক্যাপ্টেন গ্রাহাম গুচ সে ক্যাচ ধরেও ফেলে দেন হাত থেকে। ওয়াসিম (১০ ওভারে ৩/৪৯), আকিব জাভেদ (১০ ওভারে ২/২৭) এবং লেগস্পিনার মোশতাক আহমেদের (১০ ওভারে ৩/৪১) সাঁড়াশি বোলিংয়ে ২২ রানে গুচের বাহিনীকে হারিয়ে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে প্রথমবার এবং শেষবারের মতো বিশ্বসেরা হয় পাকিস্তান।

কিন্তু দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের (১৮ বলে ৩৩ ও ৪৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট) কারণে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান ওয়াসিম আকরাম। বাঁ-হাতি ফাস্ট বোলারই রোববার মেলবোর্নের ফাইনালে হতে পারেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমের ট্রাম্পকার্ড।

আজ রোববারের ফাইনালে পাকিস্তানের সম্ভাবনার প্রসঙ্গ আসতেই চলে আসছে শাহিন শাহ আফ্রিদির নাম। ২৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করে নেইল ফেয়ারব্রাদার (৭০ বলে ৬২) আর অ্যালেন ল্যাম্বের (৪১ বলে ৩১) ব্যাটিং দৃঢ়তায় জয়ের পথে হাঁটতে শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু ওয়াসিম আকরামের দুটি ডেলিভারিতে বদলে যায় দৃশ্যপট।

ইংলিশ ইনিংসের ৩৫ নম্বর ওভারে পর পর দুই (পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে) অ্যালান ল্যাম্ব ও ক্রিস লুইসকে বোল্ড করে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন ওয়াসিম আকরাম। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে শাহিন শাহ আফ্রিদির কাছ থেকে নিশ্চয়ই এমন কার্যকর বোলিংয়ের প্রত্যাশায় পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম।

সূত্র : নিউজ ১৮