সুস্থ থাকতে মেনে চলুন ডাক্তারের ৫ পরামর্শ

সুস্থ থাকতে মেনে চলুন ডাক্তারের ৫ পরামর্শ

ফাইল ছবি

বিশ্বজুড়ে বাড়ছে স্ট্রেস। বাড়ছে অস্থিরতা, অশান্তি, মানসিক চাপ। আর সবকিছু মিলে বাড়ছে হৃদরোগ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাফিক জ্যামই হোক আর অফিসে মাত্রাতিরিক্ত কাজের চাপ- নিত্যদিনের এসব টেনশন আর অস্থিরতা হৃদ্যন্ত্রের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে, রক্তচাপ বাড়ায়। 

তাই স্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস আর নিয়মিত হাঁটাহাঁটির বাইরেও মানসিক চাপ বা স্ট্রেস কমানোর পরামর্শ চিকিৎসকদের। সম্প্রতি হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের বিজ্ঞানীরা কিভাবে দৈনন্দিন চাপ কমাবেন তার একটা নির্দেশনা দিয়েছেন। 

হাসুন, পজিটিভ থাকুন: নির্মল হাসি রক্তনালির প্রদাহ কমায়, রক্তে স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়, এমনকি রক্তে উপকারী এইচডিএল কোলেস্টেরল বাড়ায়। 

ধ্যানমগ্নতা: সারা দিনের ব্যস্ততার মধ্যে ১০ মিনিট সময় বের করুন নিজের জন্য। এ সময়টা একা থাকবেন। গভীর শ্বাস নেবেন, চারপাশের সব ভাবনা চিন্তা ভুলে যাবেন। গবেষকরা বলছেন, মেডিটেশন বা ধ্যান, যোগব্যায়াম বা প্রার্থনা- যে পদ্ধতিই ব্যবহার করুন না কেন, এটা উপকারে আসবে। 

ব্যায়াম: মনের এ ব্যায়ামের পাশাপাশি দেহের ব্যায়ামও জরুরি। ব্যায়াম যে শুধু ওজন, রক্তচাপ আর রক্তের চর্বি কমায় তা নয়, স্ট্রেস বা চাপ কমাতেও সাহায্য করে। যতবারই আপনি ব্যায়াম করেন, মন সজাগ আর আনন্দময় করার হরমোন নিঃসৃত হয়, যার নাম এনডোরফিন। 

‘প্লাগ’ খুলে দিন: চাপ কমানোর একটা উৎকৃষ্ট উপায় হলো আনপ্লাগড হওয়া। দিনে টিভি, কম্পিউটার, সেলফোন অন্তত আধঘণ্টার জন্য হলেও বন্ধ করে রাখবেন। এ সময়টা এমন কিছু করবেন, যা দেহ-মনকে সতেজ করে। 

সহজ শখ: খুব ছোট ছোট ব্যাপার যেমন- দীর্ঘ সময় ধরে দারুণ একটা গোসল, গুনগুনিয়ে গান গাওয়া বা শোনা, বাগান করা- এসব সহজ শখ মানসিক চাপ কমাতে অনেকটাই সাহায্য করে।

লেখক: অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল, ঢাকা