সুপারমডেল রোবট কর্মীরাই থাকবে দুবাইয়ের বিলাসবহুল রেস্তরাঁয়

সুপারমডেল রোবট কর্মীরাই থাকবে দুবাইয়ের বিলাসবহুল রেস্তরাঁয়

সংগৃহীত

বিলাসবহুল রেস্তরাঁ। কাস্টমার এলেন। তাকে উপযুক্ত পরিষেবা দেয়ার দায়িত্ব নিলেন রেস্তরাঁর কর্মী। ওই কর্মীরা সবাই সুপারমডেল। ফ্যাশন দুনিয়ায় যাদের দেখা মেলে, তারাই এখানে থাকবেন। অর্ডার নেবেন, কথা বলবেন। যিনি এসেছেন তিনি যাতে সন্তুষ্ট হন, সেই চেষ্টাই করবেন। দুবাইয়ের এক রেস্তরাঁয় এই সব কাজই করবেন সুপারমডেলরা। তবে চমক এক জায়গাতেই। তারা কেউ মানুষ নন, সবাই রোবট।

প্রযুক্তি এগোচ্ছে। তার সাথে পাল্লা দিয়েই প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠছে আমাদের জীবনযাপনও। আধুনিক জীবন প্রযুক্তিকে বাদ দিয়ে ভাবা যায় না। সেই প্রযুক্তিনির্ভরতাকেই প্রায় অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে দুবাইয়ের রেস্তরাঁ ‘ডোনা সাইবার-ক্যাফে’। ২০২৩-এ চালু হবে রেস্তরাঁটি। যেখানে থাকবেন না কোনো মানুষ কর্মী। কর্মীরা সবাই রোবট এবং থাকবে স্বয়ংক্রিয় মেশিন। বিশ্বে এমন রেস্তরাঁ এই প্রথম দেখা যাবে।

আরডিআই রোবোটিক্সের তৈরি এই সুপারমডেলদের পোশাকি নাম রোরো-সি২। রোবটগুলোকে তৈরি করা হয়েছে নারীদের বৈশিষ্ট্য দিয়ে। অর্থাৎ সেগুলোর বাহ্যিক গড়ন নারীদের মতোই। তবে পুরুষ-প্রকৃতির রোবটও যে থাকবে না, তা নয়। এখন যন্ত্রের দুনিয়ায় সবটাই যে যান্ত্রিক হয়ে উঠবে, এমনটা চাইছেন না খোদ রোবটের স্রষ্টারাও। আর তাই গড়পড়তা রোবটের থেকে এই মানবসদৃশ বা হিউম্যানয়েড রোবটগুলো একটু অন্যরকমই। এদের বড় গুণ হলো মজুত তথ্যের ভিত্তিতে এরা কাস্টমারদের চিনতে পারবে। এবং তাদের সাথে কথাবার্তাও চালাতে পারবে। সবচেয়ে বড় কথা, মানুষের আবেগ বা অনুভূতি বুঝে নেয়ার চেষ্টা করবে রোবটগুলো। আর সেইমতো এগিয়ে নিয়ে যাবে কথোপকথন। আর যেহেতু আদতে যন্ত্র, তাই কাস্টমার ঠিক যা চাইছেন, তাই-ই হাতে তুলে দেবে রোবটগুলো। যাতে সন্তুষ্টিতে কোনোরকম খামতি না হয়। এ ছাড়া কিছু স্বয়ংক্রিয় মেশিন থাকবে রেস্তরাঁতে যা পরিষেবা সহায়ক হবে।

মানবকর্মী বর্জিত এরকম রেস্তরাঁর অভিজ্ঞতা এই প্রথম পাবে দুনিয়া। তবে কি প্রযুক্তির পৃথিবীতে মানুষের গুরুত্বই ক্রমশ কমছে? নয়া অভিজ্ঞতার পাশাপাশি এই প্রশ্নও থেকেই যাচ্ছে।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন