সরকার গৃহীত কর্মসূচির ফলে দারিদ্র্যসীমা থেকে বেরিয়ে আসবে কয়েক কোটি মানুষ : সমাজকল্যাণমন্ত্রী

সরকার গৃহীত কর্মসূচির ফলে দারিদ্র্যসীমা থেকে বেরিয়ে আসবে কয়েক কোটি মানুষ : সমাজকল্যাণমন্ত্রী

সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ

সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে সরকার কাজ করছে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে দারিদ্র্যসীমা থেকে বেরিয়ে আসবে কয়েক কোটি মানুষ।

আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওস্থ সমাজসেবা অধিদফতর মিলনায়তনে জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০২৩ ও মানবকল্যাণ পদক বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল।

নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার মূর্ত প্রতীক ও বিশাল হৃদয়ের অধিকারী। মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে তিনি ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন। মানবতার কল্যাণে তাঁর এ পদক্ষেপ বিশ্বে বিরল।

তিনি বলেন, ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় পরিচালিত কর্মসূচিসমুহ বাস্তবায়নে স্মার্ট প্রযুক্তির সূচনা হয়েছে। এক কোটিরও অধিক ভাতাভোগী এবং পাঁচ কোটিরও অধিক উপকারভোগী সরাসরি এ মন্ত্রণালয়ের সেবার আওতাভুক্ত। অদূর ভবিষ্যতে এ বিশাল সংখ্যক মানুষ দারিদ্রসীমা থেকে বেরিয়ে আসবে।সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সকল মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কাজ করছে । সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আইন ও বিধিমালা প্রণয়ণ করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

রাশেদ খান মেনন বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশে সর্বপ্রথম সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ চালু করেছিলেন। করোনা মহামারী ও  রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে বৈশ্বিক অর্থনীতি টালমাটাল। এমন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে  দেশের মানুষের জন্য সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ  সহায়ক হবে।পরে মন্ত্রী মানবকল্যাণ পদক ২০২০ ও ২০২১ প্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হাতে পদক, স্মারক, সনদপত্র ও অর্থ তুলে দেন।

সূত্র : বাসস