ফেনীতে ভোক্তা অধিকার আইনে ১ বছরে ৪১ লাখ টাকা জরিমানা

ফেনীতে ভোক্তা অধিকার আইনে ১ বছরে ৪১ লাখ টাকা জরিমানা

সংগৃহীত

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের আওতায় ২০২২ সালে জেলায় ৪১ লাখ ২৪ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 
এরমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬০০ টাকা ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক ১৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসব তথ্য জানিয়েছে জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ফেনী। 
জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের জেএম শাখা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে জেলার সকল উপজেলায় মোট ২১৩টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। ডিসেম্বর মাসের জরিমানার হিসাব প্রকাশিত হলে এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানান তারা। 
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০৩ দিন অভিযান পরিচালনা করে ১৬১টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬ লাখ ৫৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও ৮৪ টি লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৩ টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭ হাজার টাকাসহ মোট ১৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যার মধ্যে ১ টি অভিযোগ অনিষ্পন্ন রয়েছে।
অভিযানের পরও অধিক মুনাফালোভ কমছে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এ প্রসঙ্গে ফেনী ইউনিভার্সিটির কোষাধ্যক্ষ অর্থনীতিবিদ প্রফেসর তায়বুল হক বলেন, অতি মুনাফালোভের কারণে জরিমানা গুনেও চরিত্র বদলাতে চায় না অসাধু ব্যবসায়ীরা। এমনও ঘটেছে, একমাসের ব্যবধানে একই প্রতিষ্ঠানকে একই অপরাধে দুইবার জরিমানা করেছে কর্তৃপক্ষ। সাধারণত বাজারে পণ্যের সরবরাহ কমলে চাহিদা বেড়ে যায়। এসময়টিকে কাজে লাগায় অসাধুরা। এক্ষেত্রে ভোক্তাকেও সচেতন হতে হবে। তিনি যা কিনছেন তা মান নিশ্চিত হয়ে কিনুন। ভোক্তার উচিত প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য না কেনা।
ইতোপূর্বে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত বাজার তদারকি করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। ফেনীতে অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন সহকারি পরিচালক কাউসার মিয়া। ফেনীতে নিয়মিত দায়িত্বে না থাকায় অভিযানের সংখ্যা বিগত বছরগুলো থেকে কম বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

সূত্র: বাসস