ঈশ্বরদীতে গুলি ও ছুরিকাঘাতে রিক্সাচালক নিহত, আহত ২

ঈশ্বরদীতে গুলি ও ছুরিকাঘাতে রিক্সাচালক নিহত, আহত ২

ঈশ্বরদীতে গুলি ও ছুরিকাঘাতে রিক্সাচালক নিহত, আহত ২

পাববনার ঈশ্বরদীতে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গুলি ও ছুরিক্ঘাতে একজন নিহত এবং দু’জন আহত হয়েছেন।নিহত রিকশাচালক মামুন  হোসেন ঈশ্বরদী পৌর এলাকার পিয়ারখালি মহল্লার মানিক হোসেনের ছেলে।বুধবার রাত ৯টার দিকে ঈশ্বরদী পৌর শহরের পশ্চিম টেংরি কড়ইতলা এলাকায় এ হত্যাহতের ঘটনা ঘটে বলে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার জানিয়েছেন।

গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতরভাবে আহত রকি হোসেন(২৫) ও ছুরিকাঘাতে আহত সুমন হোসেন(২৮) কে সংকটাপন্ন অবস্থায় প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

আহত দু’রাজমিস্ত্রি রকি পশ্চিমটেংরি পিয়ারখালী মহল্লার শরীফ উদ্দিনের ছেলে এবং সুমন একই এলাকার বাবু হোসেনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ওসি অরবিন্দ সরকার জানান,‘ঈশ্বরদী ইপিজেড থেকে দ্রুতগামী একটি ভটভটি ও একটি লেগুনা গাড়ির গতি কমিয়ে যাওয়ার জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নিষেধ করেন। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনের ভাই আনোয়ার হোসেন তার দলবল নিয়ে ওই ব্যবসায়ীদের উপর চড়াও হয়।  তাদের মধ্যে হাতাহাতির এক পর্যায়ে আনোয়ার হোসেন নামক এক যুবক তার কোমরে থাকা পিস্তল  দিয়ে রিকশাচালক মামুন হোসেন ও রকি হোসেনকে গুলি করে। আক্রমণকারী দলের অন্য সদস্য সুমনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে গুরুতরভাবে জখম করে।

তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ মামুন হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের রাজশাহী  মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাননন্ত করা হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানান।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।বিকেল চারটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি এবং কেও আটক হয়নি বলে ওসি জানান। তবে যতটুকু ক্লু পাওয়া গেছে তার ভিত্তিতে কয়েকজনকে আটক করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও ওসি যোগ করেন।