নেতার দরকার নেই, চৌকস কর্মী চাই : ছাত্রলীগকে ওবায়দুল কাদের

নেতার দরকার নেই, চৌকস কর্মী চাই : ছাত্রলীগকে ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে নেতার দরকার নেই, স্মার্ট কর্মী দরকার।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অপরাজেয় বাংলার সামনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তবে উপচেপড়া নেতাকর্মীতে মঞ্চটি ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দেয়ার সময় ভেঙে পড়ে।

এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। তবে ওবায়দুল কাদের অক্ষত ছিলেন। আহতদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

পরে নিজেকে সামলে নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এত নেতা কেন? এত নেতা আমাদের দরকার নেই। দরকার কর্মী। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট কর্মী দরকার।’

মঞ্চ ভাঙ্গার আগে ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে নিজেদের প্রস্তুত করতে বলেন।

তিনি ছাত্রলীগকে দ্রুত কমিটি গঠন করতে বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা ছাত্রলীগের কমিটিতে শীর্ষ দুই নেতার নাম ঘোষণা করেছি কিন্তু এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি। জাতীয় নির্বাচনের আগে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে বলে দ্রুত কমিটিগুলো গঠন করতে হবে।’

কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মহানগরীর (উত্তর ও দক্ষিণ) বিভিন্ন ইউনিটের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা, ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা যোগ দেন।

ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী বলেন, ‘আমরা ২০২৪ সালের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অগ্রগামী হবো এবং আমরা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেব না। এটি আমাদের প্রতিশ্রুতি এবং এই ৭৫ বছরপূর্তি উদযাপনে আমরা বছরে ৭৫টি বিজয় সমাবেশের আয়োজন করব।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি প্রধান সংগঠন। এর একটি গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। আমাদের আবার আমাদের ট্র্যাকে ফিরে আসতে হবে।’

তিনি বলেন, আগামী দিনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও তাদের সহযোগী বিএনপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।

অনুষ্ঠানটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হয় এবং ‘অপরাজেয় বাংলা’ স্মৃতি ভাস্কর্যের সামনে থেকে শুরু হয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর পর্যন্ত একটি র‌্যালির মাধ্যমে শেষ হয়।

সূত্র : ইউএনবি