অ্যাপে থাকবে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের তথ্য

অ্যাপে থাকবে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের তথ্য

ফাইল ছবি

চলতি বছরের শেষের দিকে কিংবা আগামী ২০২৪ সালের শুরুতেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসি বলছে, প্রশাসনিক অখণ্ডতাকে প্রাধান্য দিয়ে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হতে পারে। আর এবার সীমানা পুনর্নির্ধারণে প্রথমবারের মতো অ্যাপও তৈরি করা হবে। সংসদীয় আসনের সব তথ্য এ অ্যাপেই মিলবে। অ্যাপটি তৈরির বিষয়ে দরকষাকষিও চলছে।

ইসির কর্মকর্তাদের দাবি, গেল বছর জনশুমারি ও গৃহগণনা করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। তবে এখনও জনশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন হয়নি। এ জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

তাদের দাবি, আগামী মে মাসের মধ্যেই রোডম্যাপ অনুযায়ী সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ সম্পন্ন করতে হবে। তাই জনশুমারির পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন না মিললে আগের তথ্য দিয়েই সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হবে।

এ ব্যাপারে ইসি মো. আলমগীর জানান, জনসংখ্যাকে প্রাধান্য দিলে প্রশাসনিক অনেক অসুবিধা তৈরি হবে। কারণ, এতে ঢাকাতেই অনেক আসন বেড়ে যাবে। তাই সীমানা পুনর্নির্ধারণে প্রশাসনিক অখণ্ডতা প্রাধান্য পাবে। পরিসংখ্যার ব্যুরো চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিলেই কাজ শেষ হবে। আমরা সবকিছু গুছিয়ে নিয়েছি।

তিনি আরও জানান, জমা পরা বেশ কিছু আবেদন আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি। এগুলো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় বিবেচনায় নেওয়া হবে। আগামী মে মাসের মধ্যে সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ শেষ করতে চায় ইসি। জনশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন না পেলেও আমরা সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে ফেলব।

উল্লেখ্য, সবশেষ ২৫টি সংসদীয় আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনা হয়েছিল। আসনগুলো হলো, নীলফামারী-৩ ও ৪, রংপুর-১ ও ৩, কুড়িগ্রাম-৩ ও ৪, সিরাজগঞ্জ-১ ও ২, খুলনা-৩ ও ৪, নারায়ণগঞ্জ-৪ ও ৫, জামালপুর-৪ ও ৫, সিলেট-২ ও ৩, মৌলভীবাজার-২ ও ৪, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ ও ৬, কুমিল্লা-৬, ৯ ও ১০ এবং নোয়াখালী-৪ ও ৫।