আশুলিয়ায় তাজিবুল হত্যা, ৭ জনের নামে মামলা

আশুলিয়ায় তাজিবুল হত্যা, ৭ জনের নামে মামলা

ফাইল ছবি

আশুলিয়ার জামগড়া উত্তর মীর বাড়ির বাসিন্দা মোঃ তাজিবুল মীরকে (৩০) মদ্য সেবন করিয়ে হত্যার চেষ্টার দায়ে সেচ্ছাসেবক লীগে নেতা সুমন মীরসহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে  মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। 

এলাকাবাসী বলছেন সুমন মীর একজন ইন্টারনেট ও ডিস ব্যবসায়ী তিনি আসলেই একজন সন্ত্রাসী ও  খারাপ প্রকৃতির লোক ইতিপূর্বে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকদের হেনস্থা করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার কাজেই  ইন্টারনেট ও ডিস ব্যবসা দখল করাসহ উক্ত এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করা।
তার বিরুদ্ধে এবিষয়ে একাধিক অভিযোগ সহ মামলা রয়েছে। এসকল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। 

জানা যায়, গত ৬ জানুয়ারি আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের ভাদাইলে সুমন মিয়ার ইন্টারনেট অফিসে তাজিবুল মীর ও সুমন মীরসহ ৬-৭ জন এক সাথে বিদেশি মদ্য সেবন করে, মদ্য সেবন করার পর অন্যদের কোন সমস্যা না হলেও  তাজিবুল মীর অসুস্থ হয়ে পড়েন, এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তাজিবুল মীরের অবস্থা অবনতি হলে তার  বাবা মোঃ ওয়াহিদুল মীর বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা করেন।

মদ্যপানে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার  অবনতি হলে ৮ জানুয়ারি সকালে তাকে লাইফ সাফটে রাখা হয়। এঘটনার প্রায় ২১ দিনপর তাজিবুল মীরকে আজ বিকেলে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত ডাক্তার। পরে লাশ মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে ওয়াহিদুল মীর বলেন, আমার ছেলে অসুস্থ হওয়ার  দুইদিন আগে তার ইন্টারনেট লাইন কেটে দখলে নিয়েছে মোর্শেদ ভুঁইয়ার ছেলে মোঃ মারুফ ভুঁইয়া (২৬) দুইদিন পর তাকে মদ্যপান করানো হয়েছে। আমার মনে হয় এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। 

তিনি আরও বলেন ৬,৭ জন একত্রে মদ্যপান করলো তাদের কিছুই হলো না আমার ছেলে অসুস্থ হয়ে মারা গেলে কিভাবে? আমার ছেলের মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদের দৃষ্টান্ত শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ ওতাদের সবাইকে গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবী জানিয়াছেন তিনি। 

উক্ত ঘটনায় মারুফ ভুঁইয়া সুমন মীরসহ আরও অনেকেই জড়িত আছে বলে মনে করছেন তিনি, তবে এঘটনার সাথে জরিত ছিলেন এমন কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক এস আই নোমান বলেন, আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।