বাংলাদেশ দূতাবাস ব্যাংককে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

বাংলাদেশ দূতাবাস ব্যাংককে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

সংগৃহীত

বাংলাদেশ দূতাবাস, ব্যাংকক আজ মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে। অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রদূত মো: আব্দুল হাই আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও থাইল্যান্ডের অন্যতম উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্যাসেটসার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অন্যান্য শহীদ সদস্যসহ ভাষা শহীদ ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার শান্তি কামনা এবং দেশের অব্যাহত সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর (শ্রম)  মোঃ ফাহাদ পারভেজ বসুনীয়া। অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে ভাষা শহিদ ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এরপর রাষ্ট্রদূত মোঃ আব্দুল হাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুশেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি,  প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে দূতাবাসের (মিনিস্টার) রাজনৈতিক ও মিশন উপপ্রধান মালেকা পারভীন, এনডিসি, মিনিস্টার (কনস্যুলার) হাসনাত আহমেদ, ইকনোমিক মিনিস্টার সৈয়দ রাশেদুল হোসেন, কাউন্সেলর এবং দূতালয় প্রধান মোঃ মাসূমুর রহমান। অনুষ্ঠানে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এর উপর নির্মিত একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

আলোচনা পর্বের শুরুতে ক্যাসেটসার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন শিক্ষার্থী থাই ভাষার ইতিহাস ও পরম্পরা বিষয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন। রাষ্ট্রদূত মো: আব্দুল হাই তাঁর বক্তব্যের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ভাষা শহীদ ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীরভাবে স্মরণ করেন এবং তাঁদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, ভাষা দিবস পালনের উদ্দেশ্য, বাঙ্গালী জাতির অধিকার আদায়ের আন্দোলন, ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরে প্রবাসি বাংলাদেশি নব প্রজন্মের মাঝে মাতৃভাষা বাংলা চর্চা করার আহবান জানান। 

আলোচনা পর্বে আরও অংশগ্রহণ করেন দূতাবাসের মিনিস্টার (কনস্যুলার) হাসনাত আহমেদ ও কমিউনিটি সদস্য নিয়ামত আলী তালুকদার (বাদল) ও ক্যাসেটসার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সাজু সরদার।  

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) নির্ঝর অধিকারী।